ইন্টারনেট: ব্রিটেনে ক্ষমতাশীন লেবারর সরকার শত শত ফিলিস্তিন সমর্থকদের গণগ্রেফতার করে নতুন বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। লন্ডনে পার্লামেন্ট স্কয়ারের প্রতিবাদ-বিক্ষোভে বিতর্কিত ধরপাকড়কে কেন্দ্র করে ২০০০ সালের সন্ত্রাসবাদ আইনের প্রয়োগ নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠেছে। ‘আমি গণহত্যার বিরোধিতা করি বা আমি ফিলিস্তিন অ্যাকশনকে সমর্থন করি’ লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ করা ৫২২ জনেরও বেশি মানুষকে গ্রেফতার করেছে মেট্রোপলিটন পুলিশ। সম্প্রতি নিষিদ্ধ ঘোষিত ‘ফিলিস্তিন অ্যাকশন’-কে সমর্থনকারীদের ওপর দমন-পীড়ন চালানোর উদ্দেশ্যে সরকারের এই আগ্রাসী পদক্ষেপ বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। গ্রেফতারকৃতদের প্রায় অর্ধেকের বয়স ৬০ বছরের বেশি ছিল এবং তাদের মধ্যে ১৫ জন অশীতিপর (৮০ বা তার বেশি বয়সী) ব্যক্তিও ছিলেন। পুলিশ কর্মকর্তাদের এই বয়স্ক, কখনও কখনও দুর্বল ব্যক্তিদের বহন করে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্যকে সমালোচকরা ‘অস্বস্তিকর’ এবং ‘অযৌক্তিক’ বলে বর্ণনা করেছেন। অনেক বয়স্ক বিক্ষোভকারীকে টেনে নিয়ে যাওয়ার সময় ভিড় থেকে করতালির মাধ্যমে বিদায় জানানো হয়েছে। গ্রেফতারের ব্যাপকতা পুলিশের সংস্থানকে ছাপিয়ে যায়, ফলে পুলিশ স্টেশনগুলো সম্পূর্ণভাবে ভরে যাওয়া ঠেকাতে মেট্রোপলিটন পুলিশকে ‘রাস্তার জামিন’ পদ্ধতি প্রয়োগ করতে বাধ্য হতে হয়। বিক্ষোভের আয়োজকরা এটিকে ‘সম্মিলিত প্রতিরোধের এক স্মারক’ হিসেবে আখ্যায়িত করে বিজয় দাবি করেছেন।
বিশিষ্ট ব্যক্তিদের গ্রেফতার জনরোষ বৃদ্ধি: বিশিষ্ট এবং শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিদের গ্রেফতারের মাধ্যমে জনরোষ আরও তীব্র হয়েছে। গ্রেফতার ব্যক্তিদের মধ্যে জোনাথন পোরিটও আছে। তিনি পরিবেশবাদী হিসেবে পরিচিত এবং রাজা চার্লসের প্রাক্তন উপদেষ্টা। প্ল্যাকার্ড বহনের অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ৫৮ বছর বয়সী অক্সফোর্ডের সাবেক অধ্যাপক এবং টিএস এলিয়ট পুরস্কার বিজয়ী অ্যালিস অসওয়াল্ডের গ্রেফতারও বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এই গ্রেফতারগুলোর নিন্দা জানিয়েছে। এর ফলে মুসলিম ভোটারদের সঙ্গে লেবার পার্টির সংকট আরও গভীর হচ্ছে। সরকারের আগ্রাসী মনোভাব এবং এর পরবর্তী প্রতিক্রিয়া লেবার পার্টির জন্য একটি ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক সংকটকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।