রয়টার্স : আগামী জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলন-কপ৩১ অস্ট্রেলিয়ায় হওয়ার কথা ছিল। ওই আয়োজনকে ঘিরে অচলাবস্থার অবসান ঘটিয়েছে তুরস্ক এবং অস্ট্রেলিয়া। চূড়ান্ত হয়েছে, ২০২৬ সালে কপ৩১ আয়োজন করবে তুরস্ক। আর সম্মেলনে আলোচনার নেতৃত্ব দেবে অস্ট্রেলিয়া। দুই দেশের মধ্যে এমন চুক্তিকে ‘বহুপাক্ষিকতার জন্য অর্থবহ সাফল্য’ বলে উল্লেখ করেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান। গত শনিবার জোহানেসবার্গে জি২০ সম্মেলনের এক অনুষ্ঠানে এরদোয়ান বলেন, “সাম্প্রতিক সময়ে বহুপাক্ষিকতার ভিত্তি দুর্বল হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে এই যে সমঝোতায় পৌঁছেছি, সেটি আমি অর্থবহ মনে করি।” অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ রবিবার জানান, কপ৩১-এর সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়ায় আলোচনার নেতৃত্ব দেওয়ার ‘একচ্ছত্র এখতিয়ার’ থাকবে অস্ট্রেলিয়ার।
এক বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল একটি বিশেষ বৈঠকের আয়োজন করবে, যেখানে জলবায়ু পরিবর্তনে ওই অঞ্চলের ‘অস্তিত্বগত হুমকি’ তুলে ধরা হবে। প্রশান্ত মহাসাগরের ১৮টি দ্বীপরাষ্ট্র অস্ট্রেলিয়ার বিডকে সমর্থন দিয়েছিল। তুরস্কের পরিবেশ, নগরায়ণ ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মুরাত কুরুম এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেন, “শত শত দ্বিপাক্ষিক বৈঠক, জলবায়ুভিত্তিক সফর, অসংখ্য কূটনৈতিক আলোচনার পর অবশেষে তুরস্ক কপ৩১-এর প্রেসিডেন্ট এবং আয়োজক!” তিনি আরও জানান, তুরস্ক এমন একটি ‘ন্যায়সংগত ও ভারসাম্যপূর্ণ’ সম্মেলনের আয়োজন করবে, যা শুধু নিজস্ব অঞ্চল নয় বরং প্রশান্ত মহাসাগর ও আফ্রিকার মতো ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলকেও প্রাধান্য দেবে। জাতিসংঘের বার্ষিক সম্মেলন বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়ার প্রধান বৈশ্বিক মঞ্চ।