DailySangram-Logo-en-H90
ই-পেপার আজকের পত্রিকা

এশিয়া

ইসরাইলী সৈন্যদের বর্বরতা

কয়েকটি মসজিদে ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ

পশ্চিম তীরের নাবলুস শহরের বেশ কয়েকটি মসজিদে ভাঙচুরের পাশাপাশি ঐতিহাসিক আল-নাসর মসজিদে অগ্নিসংযোগ করেছে ইসরাইলী সেনারা। গতকাল শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ফিলিস্তিনের সরকারি বার্তাসংস্থা ওয়াফা।

সংগ্রাম ডেস্ক
Printed Edition
Default Image - DS

পশ্চিম তীরের নাবলুস শহরের বেশ কয়েকটি মসজিদে ভাঙচুরের পাশাপাশি ঐতিহাসিক আল-নাসর মসজিদে অগ্নিসংযোগ করেছে ইসরাইলী সেনারা। গতকাল শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ফিলিস্তিনের সরকারি বার্তাসংস্থা ওয়াফা। আনাদোলু এজেন্সি। ওয়াফার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল শুক্রবার সকাল থেকেই নাবলুস শহরের মসজিদগুলোকে লক্ষ্য করে অভিযান শুরু করে ইসরাইলের সেনাবাহিনী। অভিযানে বেশ কয়েকটি মসজিদ ভাঙচুর করে তারা, সেই সঙ্গে আল-নাসর মসজিদে ভাঙচুরের পাশাপাশি অগ্নিসংযোগও করে। আল-নাসর পশ্চিম তীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলোর মধ্যে একটি। একসময় এটি গির্জা ছিল। ইসলামের আগমনের আগে প্রাচীন রোমান শাসকদের আমলে তৈরি হয়েছিল গির্জাটি। পরে ১১৮৭ খ্রিস্টাব্দে সেটিকে মসজিদে রূপান্তর করা হয়। আগুনে পুরোপুরি ধ্বংস হয়নি আল-নাসর মসজিদ, তবে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আগুন দেওয়ার আগে মসজিদের ভেতরে ভাঙচুর এবং ইমামের বাসভবন ধ্বংস করেছে ইসরাইলী সেনারা।

পশ্চিম তীরে ক্ষমতাসীন ফাতাহ সরকারের ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ সম্পর্কে বলা হয়েছে, “কোনো পূর্ব সতর্কবার্তা কিংবা নোটিশ ছাড়াই আজ শুক্রবার ভোরে নাবলুসের বাব আল সাহা এলাকায় অবস্থিত আল নাসর মসজিদে আগুন দিয়েছে ইসরাইলী সেনাবাহিনী। পাশাপাশি নাবলুসের বেশ কয়েকটি মসজিদে ভাঙচুরও চালিয়েছে ইসরাইলী সেনারা।” “আগুন নেভাতে নাবালুসের ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসেছিলেন, কিন্তু তাদেরকে বাব আল সাহায় প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।” নাবলুসের ঐতিহাসিক স্থাপনা রক্ষণাবেক্ষণ দপ্তরের পরিচালক নাসের আল সালমান এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে এক বিবৃতিতে বলেছেন, “১৯৪৮ সালের আরব-ইসরাইল যুদ্ধের পর এই প্রথম আল-নাসরসহ অন্যান্য মসজিদগুলোকে লক্ষ্য করে অভিযান চালিয়েছে ইসরাইলী সেনারা। এই অভিযানের মাধ্যমে তারা আরও একবার প্রমাণ করল যে ইহুদি ব্যতীত অন্যান্য ধর্মের লোকজন ও ধর্মীয় উপসনালয়ের প্রতি তাদের বিন্দু পরিমাণ সম্মানবোধ নেই।”