ডায়বেটিসসহ যেসব রোগ থাকলে নাও মিলতে পারে মার্কিন ভিসা

মার্কিন ভিসার ক্ষেত্রে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, হৃদরোগ, শ্বাসতন্ত্রের রোগ, ক্যান্সার, ডায়বেটিস, মেটাবলিক রোগ, স্নায়ুবিক রোগ এবং মানসিক স্বাস্থ্যের মতো রোগগুলোকে বিবেচনায় নিতে বলা হয়েছে। মূলত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত মানুষ যুক্তরাষ্ট্রে গেলে চিকিৎসা করালে সেখানে সরকারের খরচ হয়। এই খরচ কমাতেই রোগাক্রান্তদের ব্যাপারে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। এতে বলা হয়েছে, যারা রোগাক্রান্ত তারা যুক্তরাষ্ট্রে এসে বসবাস শুরুর পর চিকিৎসা ব্যয় চালিয়ে নিতে পারবেন কি না, সেটি খতিয়ে দেখা হবে। এ ব্যাপারে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দূতাবাস এবং কনস্যুলেটে গাইডলাইন পাঠানো হয়েছে। এই গাইডলাইনে নির্দেশনা হয়েছে, ভিসা আবেদনকারীর স্বাস্থ্যের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে। বিশেষ করে হৃদরোগ, শ্বাসতন্ত্রের রোগ, ক্যানসার, ডায়বেটিস, মেটাবলিক রোগ, স্নায়বিক রোগ এবং মানসিক স্বাস্থ্যসহ কিছু নির্দিষ্ট রোগগুলো বিবেচনায় নিতে বলা হয়েছে। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, এই রোগগুলোর চিকিৎসা ব্যয় অনেক বেশি হওয়ায় লাখ লাখ ডলার খরচ হতে পারে। আবেদনকারীরা যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে নিজ খরচে চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে পারবে কি না সেটিও খতিয়ে দেখতে দূতাবাসগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এদিকে ভিসার আবেদন যাচাই করার সময় সংক্রামক রোগ পরীক্ষা করা, টিকার ইতিহাস দেখা, এবং মানসিক অসুস্থতা যাচাই করা— এসব প্রক্রিয়া আগে থেকেই ছিল। এনডিটিভি, কেএএফ নিউজ

দক্ষিণ চীন সাগরে ভারতের ব্রাহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করল ফিলিপাইন

দক্ষিণ চীন সাগরে ভারতের ব্রাহ্মস ক্রুজ সুপারসনিক (শব্দের চেয়ে দ্রুতগামী) ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করল ফিলিপাইন। গত শুক্রবার ফিলিপাইনের সরকারি সংবাদমাধ্যম আনুষ্ঠানিকভাবে ভারত থেকে কেনা বাহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের খবর এবং ছবি প্রকাশ করেছে। আপাতত ফিলিপাইনের মেরিন কোরের তত্ত্বাবধানে জাম্বালেস প্রদেশের উপকূলীয় সেনাঘাঁটিতে রাখা হয়েছে ‘ব্রাহ্মস ব্যাটারি’। মস্কো-নয়াদিল্লি যৌথ উদ্যোগে গঠিত ব্রাহ্মস এরোস্পেস সংস্থায় তৈরি এই ক্ষেপণাস্ত্র স্থলভূমির পাশাপাশি ডুবোজাহাজ এবং জাহাজ থেকে উৎক্ষেপণ করা সম্ভব। ফিলিপাইন মেরিন কোর ব্রাহ্মসের জাহাজ বিধ্বংসী সংস্করণ কেনার জন্য বছর কয়েক আগেই চুক্তি করেছিল ভারতের সঙ্গে। সেগুলোই মোতায়েন করেছে তারা। উল্লেখ্য, দক্ষিণ চীন সাগরের অধিকাংশ এলাকাই নিজেদের অংশ বলে দাবি করে চীন। তা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে ফিলিপাইন, তাইওয়ান, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, ব্রুনেইয়ের মতো প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে চীনের বিরোধ চলে আসছে। ফিলিপাইন এবং চীনের মধ্যে বিরোধের অন্যতম কারণ দক্ষিণ চীন সাগরের সেকেন্ড থমাস শোলে দ্বীপকে কেন্দ্র করে। ফিলিপাইন দ্বীপের পালাওয়ান থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ওই দ্বীপে ১৯৯৯ সালে ফিলিপাইন নৌবাহিনী দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার একটি জাহাজে অস্থায়ী নৌঘাঁটি বানিয়ে অবস্থান নিয়েছিল প্রায় দু’দশক আগে। এর পরে ২০১২ সালে ফিলিপাইনের কাছ থেকে স্কারবোরো শোলে দ্বীপের দখল নিয়েছিল চীনা পিপল্স লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)। যা নিয়ে দু’দেশের যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। ২০১৬ সালের এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বের মোট বাণিজ্য সামগ্রীর প্রায় ২১ শতাংশই দক্ষিণ চীন সাগরের জলপথ দিয়ে পরিবহণ করা হয়। বিগত কয়েক বছরে এই পরিমাণ আরও বেড়েছে। ইউএসএনআই, আর্মি রিকগনিশন

দক্ষিণ আফ্রিকায় জি-২০ লজ্জাজনক ॥ অংশ নেবে না যুক্তরাষ্ট্র

দক্ষিণ আফ্রিকায় জি-২০ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়া 'লজ্জাজনক' আখ্যা দিয়ে অংশগ্রহণ না করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, কোনো মার্কিন সরকারি কর্মকর্তা এ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন না। তার দাবি, দেশটিতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে। যার কারণেই এ সিদ্ধান্ত। ট্রাম্প বলেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাচ, ফরাসি ও জার্মান অভিবাসীদের বংশধর-আফ্রিকানাররা হত্যার শিকার হচ্ছেন। তাদের জমি ও খামার অবৈধভাবে দখল করে নেওয়া হচ্ছে। ট্রাম্প দাবি করেছেন, কৃষ্ণাঙ্গ সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটিতে বর্ণের ভিত্তিতে শ্বেতাঙ্গ নাগরিকদের প্রতি নিপীড়ন চালানো হচ্ছে। যদিও দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প আরও বলেন, এই মানবাধিকার লঙ্ঘন চলতে থাকলে, মার্কিন সরকারি কর্মকর্তারা দেশটিতে এরকম কোনো অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন না। দক্ষিণ আফ্রিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ট্রাম্পের এই মন্তব্যের বিষয়ে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি। এদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকার কাছ থেকে আগামী বছরের জন্য জি-২০ সভাপতিত্বের দায়িত্ব নিতে চলেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্প জানিয়েছেন, মিয়ামিতে ২০২৬ সালের জি-২০ আয়োজনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। ট্রাম্প এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার ভূমিনীতি এবং দেশটির পক্ষ থেকে গাজায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ উত্থাপন নিয়েও তীব্র সমালোচনা করেছেন। জি-২০ (এ-২০) সম্মেলন হলো বিশ্বের বৃহৎ অর্থনৈতিক শক্তিগুলোর বার্ষিক শীর্ষ বৈঠক। রয়টার্স