রয়টার্স: বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দামে গত বুধবার হালকা পতন লক্ষ্য করা গেছে। চীনের সঙ্গে সাম্প্রতিক বাণিজ্য আলোচনার ফলাফল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকায় বাজারে অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে এখনও। তার ওপর চীনের দুর্বল তেলচাহিদা ও ওপেক প্লাস জোটের উৎপাদন বৃদ্ধির ঘোষণা নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে তেলের বাজারে। তেল সরবরাহ বাড়ানোর উদ্যোগ নিচ্ছে ওপেক প্লাস জোট। জুলাই মাসে দৈনিক ৪ লাখ ১১ হাজার ব্যারেল উৎপাদন বৃদ্ধির পরিকল্পনা রয়েছে জোটটির, যা উৎপাদন হ্রাস তুলে নেওয়ার ধারাবাহিক চতুর্থ পদক্ষেপ। তবে কিছু বিশ্লেষক মনে করছেন, আঞ্চলিক বাজারে এ অতিরিক্ত তেলের চাহিদা সেভাবে তৈরি হবে না।
গত বুধবার সকালে ব্রেন্ট ক্রুড ফিউচার্সের দাম ১৫ সেন্ট বা ০.২ শতাংশ কমে দাঁড়ায় প্রতি ব্যারেল ৬৬.৭২ ডলারে। অপরদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) ক্রুড ১০ সেন্ট বা ০.২ শতাংশ কমে প্রতি ব্যারেল ৬৪.৮৮ ডলারে লেনদেন হয়। প্রতিবেদন অনুযায়ী, লন্ডনে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের কর্মকর্তারা দুই দিনব্যাপী এক চূড়ান্ত আলোচনা শেষে একটি সমঝোতার কাঠামোতে একমত হয়েছেন। মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক জানান, এ সমঝোতার মাধ্যমে বাণিজ্য বিরতি আবার সচল করার পাশাপাশি চীনের বিরল খনিজ ও চুম্বক জাতীয় পণ্যের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পথ সুগম হবে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীন বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি ও শীর্ষ তেলভোক্তা হওয়ায় তাদের সম্পর্কের গতিপ্রকৃতি বিশ্ববাজারে তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাব ফেলে।