ইন্টারনেট : মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দাতুক সেরি আনোয়ার ইব্রাহিম বলেছেন, নতুন বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় এশিয়াকে নেতৃত্ব দিতে হবে এবং ভবিষ্যৎ অধ্যায় এশিয়দের হাতেই রচিত হতে হবে। গতকাল সোমবার চীনের তিয়ানজিন বিশ্ববিদ্যালয়ে এক জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, এশিয়ার দেশগুলোকে নিশ্চিত করতে হবে যে, পরবর্তী অধ্যায়টি এশীয় কালিতে লেখা হবে। আমরা কেবল অন্যদের কৌশলের বস্তু নই, আমরাই আমাদের ভাগ্যের লেখক। আনোয়ার তার বক্তৃতায় বিশ্ব অর্থনীতির বড় রূপান্তরের ইতিহাস তুলে ধরেন—১৯৪৪ সালের ব্রেটন উডস চুক্তি: অর্থনীতি সোনার মানদণ্ড ও ডলারের সঙ্গে বাধা হয়।

১৯৭১ সালে যুক্তরাষ্ট্র সেই সংযোগ ভেঙে দিলে পুঁজি উদারীকরণের নতুন যুগ শুরু হয় এবং জি-৭ গঠিত হয়। বর্তমান সময়ে শুল্কনীতি, বাণিজ্যের অস্ত্রায়ন ও যুদ্ধোত্তর প্রতিষ্ঠানের প্রতি অসন্তোষ নতুন এক অর্থনৈতিক পুনর্বিন্যাসের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রীর মতে, প্রতিবারই এ অধ্যায়গুলো এশিয়ার বাইরে রচিত হয়েছে। এবার এশিয়াকে নিজস্ব ভূমিকা রাখতে হবে।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (ওগঋ) তথ্য উদ্ধৃত করে আনোয়ার বলেন, বৈশ্বিক বাণিজ্যের তীব্র বিভাজন এবং প্রযুক্তিগত বিচ্ছিন্নতার কারণে কিছু দেশ তাদের মোট দেশজ উৎপাদনের (এউচ) ১২ শতাংশ পর্যন্ত ক্ষতির মুখে পড়তে পারে।তিনি সতর্ক করেন, এ পরিস্থিতি উদীয়মান অর্থনীতির জন্য বিশেষভাবে হুমকিস্বরূপ।

সেমিকন্ডাক্টর খাতে নতুন বাজার

একই অনুষ্ঠানে মালয়েশিয়ার সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের সম্ভাবনার কথাও তুলে ধরেন আনোয়ার। মালয়েশিয়া বর্তমানে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সেমিকন্ডাক্টর হাব। দেশের বৈদ্যুতিক ও ইলেকট্রনিক পণ্যের প্রায় ৬০ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হয়।

মালয়েশিয়া চীন ও জাপানের সঙ্গে যৌথভাবে নতুন বাজার খুঁজছে। চীনের উন্মুক্ত নীতি ব্যবহার করে শিল্পে প্রশিক্ষণ ও সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী জানান, মঙ্গলবার তিনি চীনে অবস্থানরত শীর্ষ সেমিকন্ডাক্টর কোম্পানিগুলোর সঙ্গে বৈঠক করবেন।

২০২২ সালের নবেম্বরে দায়িত্ব গ্রহণের পর এটি আনোয়ার ইব্রাহিমের চীনে চতুর্থ কর্ম-সফর।