আল-জাজিরা : ইসরাইলি সেনারা গাজা সিটির ভেতরে আরও অগ্রসর হচ্ছে। পুরো পাড়া-মহল্লা ধ্বংস করছে এবং ফিলিস্তিনি পরিবারগুলোকে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য করছে। এদিকে ইসরাইলি অবরোধে কৃত্রিমভাবে তৈরি করা দুর্ভিক্ষও তীব্রতর হচ্ছে। গত মঙ্গলবার গাজা সিটির পূর্বে একটি বাজারে ইসরাইলি হামলায় কমপক্ষে ৫ জন নিহত এবং অনেক আহত হয়েছেন। গত মঙ্গলবার ভোর থেকে বিভিন্ন হামলায় কমপক্ষে ৬৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে খাদ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে নিহত হন ১৩ জন। অক্টোবর ২০২৩ এর পর দুর্ভিক্ষে ৩০৩ জন ফিলিস্তিনি মারা গেছেন, এর মধ্যে ১১৭ টি শিশু। সাফতাওয়ি এলাকা থেকে হাজারো মানুষকে পালাতে দেখা গেছে। তাদের অনেকে পায়ে হেঁটে সামান্য জিনিসপত্র নিয়ে পশ্চিম দিকে যাচ্ছিলেন। ৬ই আগস্ট থেকে ইসরাইলি বাহিনী গাজা সিটির এক হাজারের বেশি ভবন সম্পূর্ণ ধ্বংস করেছে। স্থানীয় লেখিকা সারা আওয়াদ বলেন, আমরা ঘরবাড়ি ছেড়ে বারবার কোথায় যাব? তাঁবুতে কেন থাকব? মনে হচ্ছে গাজা সিটিতে আমাদের শেষ দিনগুলো চলছে। সোমবার ইসরাইলি সেনারা আল নাসের হাসপাতালে দুই দফা (ডাবল-ট্যাপ) বোমাবর্ষণ করে ৫ সাংবাদিক সহ কমপক্ষে ২১ জনকে হত্যা করেছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা একে সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধ হিসেবে তদন্তের দাবি করেছেন। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘটনাটিকে ‘দুর্ভাগ্যজনক ভুল’ বলেছেন। তবে কীভাবে একই হাসপাতাল দু’বার টার্গেট করা হলো তার ব্যাখ্যা দেননি। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন আল জাজিরার সাংবাদিক মোহাম্মদ সালাম। অক্টোবর ২০২৩ থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ২৭০ জনের বেশি সাংবাদিক ও মিডিয়া কর্মী নিহত হয়েছেন। জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক দপ্তর সতর্ক করেছে যে- গাজায় ক্ষুধা, চিকিৎসা সংকট ও প্রাণহানির সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, এ পর্যন্ত নিহতদের ৮৩ শতাংশই সাধারণ মানুষ, যা আধুনিক সংঘাতগুলোর মধ্যে অন্যতম সর্বোচ্চ বেসামরিক মৃত্যুহার। ফিলিস্তিনি নেতা মুস্তাফা বারগুতি বলেছেন, ইসরাইল ‘জাতিগত নির্মূল’ চালাচ্ছে এবং মধ্যপ্রাচ্যে রাজনৈতিক অর্থনৈতিক আধিপত্য কায়েম করতে চাইছে।
এশিয়া
নিহত ও বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনী বাড়ছেই
ইসরাইলি সেনারা গাজা সিটির ভেতরে আরও অগ্রসর হচ্ছে। পুরো পাড়া-মহল্লা ধ্বংস করছে এবং ফিলিস্তিনি পরিবারগুলোকে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য করছে। এদিকে ইসরাইলি অবরোধে কৃত্রিমভাবে তৈরি করা দুর্ভিক্ষও তীব্রতর হচ্ছে। গত মঙ্গলবার গাজা সিটির পূর্বে একটি বাজারে ইসরাইলি হামলায় কমপক্ষে ৫ জন