উত্তেজনা বাড়ানো জার্মানিকে দায়ী করেছে চীন
এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বেইজিং ক্রমবর্ধমান আক্রমণাত্মক হয়ে উঠছে বলে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করেছে চীন। বার্লিনকে সতর্ক করে চীন সোমবার বলেছে, সংঘাত উসকে দেওয়া এবং উত্তেজনা বৃদ্ধি করা উচিত নয়।তাইওয়ান প্রণালি এবং পূর্ব ও দক্ষিণ চীন সাগরে বেইজিংয়ের সাম্প্রতিক আচরণের প্রসঙ্গ টেনে জাপান সফরকালে জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোহান ওয়াদেফুল বলেছেন, “চীন বারবার হুমকি দিচ্ছে, তারা একতরফাভাবে অবস্থার পরিবর্তন করবে এবং সীমান্ত নিজেদের অনুকূলে নিয়ে নেবে।”সোমবার জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাকেশি ইওয়ায়ার সঙ্গে আলোচনার পর ওয়াদেফুল বলেন, “বিশ্ব বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এই সংবেদনশীল কেন্দ্রে যেকোনও ধরনের উত্তেজনা বৈশ্বিক নিরাপত্তা এবং বিশ্ব অর্থনীতির জন্য ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনবে।”সোমবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বলেন, “পূর্ব চীন সাগর এবং দক্ষিণ চীন সাগরের পরিস্থিতি স্থিতিশীলই রয়েছে।”তিনি আরও বলেন, “আমরা সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, আঞ্চলিক বিভিন্ন দেশগুলোর প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন, সংলাপ ও পরামর্শের মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করুন এবং সংঘর্ষ উসকে দেওয়ার ও উত্তেজনা বৃদ্ধির পরিবর্তে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখুন। চায়না গ্লোবাল সাউথ, সিটিজেন ট্রিবিউন
স্বর্ণের অভিশাপে মৃত্যুপুরী তানজানিয়ার গ্রাম
তানজানিয়ার উত্তরাঞ্চলের নর্থ মারা স্বর্ণের খনি স্থানীয় মানুষের জন্য এখন অভিশাপে পরিণত হয়েছে। একদিকে এটি দেশকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করছে, অন্যদিকে গ্রামীণ জনপদে নিয়ে আসছে ভয়াবহ দুর্দশা, সহিংসতা, নির্যাতন ও মৃত্যুর মিছিল। আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই খনিকে ঘিরে বেড়েছে রাজনৈতিক দমন-পীড়ন, পুলিশি সহিংসতা ও অপহরণ।নিয়ামঙ্গো গ্রামের যুবক চাচা এক রাতে মুখোশধারীদের হাতে অপহৃত হন। তাঁকে কুমিরভরা মারা নদীর সেতু থেকে উল্টো ঝুলিয়ে নির্যাতন করা হয়। উদ্দেশ্য ছিল—কে তাঁর কাছ থেকে স্বর্ণ কিনছে এবং সাম্প্রতিক খনিসংলগ্ন পুলিশ হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে তিনি কী জানেন। তিন মাস পর মুক্তি পেলেও এখনো মানসিক ও শারীরিক ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছেন চাচা।মানবাধিকার সংগঠনগুলোর তথ্যমতে, ২০০৬ সাল থেকে নর্থ মারা খনি ঘিরে অন্তত ৯৬ জন নিহত এবং শত শত মানুষ আহত হয়েছেন। অনেকেই নিখোঁজ রয়েছেন। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, খনির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ গ্রামবাসীদের ভয় দেখাতে টিয়ার গ্যাস, সাউন্ড বোমা ও প্রাণঘাতী গুলি ব্যবহার করে। খনির আশপাশে সোনার টুকরো খুঁজতে যাওয়া দরিদ্র মানুষই মূলত পুলিশের নিশানায় পড়েন। দ্য টাইমস ।
যে কারণে আলাস্কা থেকে রাশিয়ায় নেওয়া হলো পুতিনের মল
আলাস্কার বৈঠক ঘিরে পুতিনকে নিয়ে বেরিয়েছে আরেকটি চাঞ্চল্যকর খবর। জানা গেছে, ওই দিন আলাস্কা থেকে পুতিনের ‘মল’ বিশেষ স্যুটকেসে করে রাশিয়ায় ফেরত নিয়ে গেছেন তার দেহরক্ষীরা। রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের দেহরক্ষীরা প্রায়শই বিভিন্ন কারণে শিরোনামে আসেন। এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আলাস্কা শীর্ষ সম্মেলনে প্রেসিডেন্টের ‘মলত্যাগের স্যুটকেস’ বহন করার জন্য সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে এসেছেন পুতিনের দেহরক্ষীরা। জানা গেছে, পুতিনের দেহরক্ষীরা তার মল সংগ্রহ করে এবং যখনই তিনি বিদেশ ভ্রমণ করেন তখন তা রাশিয়ায় ফিরিয়ে নিয়ে যান। পুতিনের ‘মলত্যাগের স্যুটকেস’ নিয়ে এই ধরনের প্রতিবেদন এই প্রথম প্রকাশিত হয়নি। ২০২২ সালে ফরাসি ম্যাগাজিন প্যারিস ম্যাচ দুই সিনিয়র তদন্তকারী সাংবাদিকের লেখা একটি প্রতিবেদনে এই খবর তুলে ধরে। কিন্তু কেন প্রেসিডেন্টের মল সংগ্রহ করে রাশিয়ায় ফেরত নেওয়া হয়? এই অদ্ভুত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে পুতিনের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য গোপন করার জন্য।বিদেশ সফরে পুতিনের দেহরক্ষীরা তার মল সংগ্রহ করেন এবং তা রাশিয়ায় ফিরিয়ে নিয়ে যান। আলাস্কা বৈঠকে পুতিনকে ঘিরে ছিল কড়া নিরাপত্তা। তাকে ঘিরে ছিলেন দেহরক্ষীরা। রুশ তথ্য ফাঁস রোধে নেওয়া হয়েছিল একাধিক পদক্ষেপ।পুতিনের ফেডারেল প্রোটেকশন সার্ভিসের সদস্যরা তার মানব বর্জ্য সংগ্রহ করেন। বিশেষ ব্যাগে তা রাখা হয় এবং নির্দিষ্ট ব্রিফকেসে বহন করা হয়। এই ব্যবস্থা বহু বছর ধরেই চালু রয়েছে। ২০১৭ সালে ফ্রান্স সফরের সময়ও এমন হয়েছিল। এছাড়া ভিয়েনা সফরের সময়ও পুতিন একটি পোর্টেবল টয়লেট ব্যবহার করেছিলেন বলে জানা গেছে। এনডিটিভি, টাইমস অব ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়া টুডে, ফার্স্টপোস্ট