রয়টার্স : নিকারাগুয়াতে ২০১৮ সাল থেকে ১২০ জনের বেশি বিরোধীদলীয় আন্দোলনকারীকে গুম করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে জাতিসংঘ। দেশটির প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল ওর্টেগার ও তার সরকারকে নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিণতি ও অবস্থান স্পষ্টভাবে প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি। জাতিসংঘের জেনেভাভিত্তিক সংস্থা ওয়ার্কিং গ্রুপ অন এনফোর্সড অর ইনভলান্টারি ডিজঅ্যাপিয়ারেন্সেস শুক্রবার জানায়, নিখোঁজদের মধ্যে রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ এমন অনেক নাগরিকও রয়েছেন, যারা কেবল সরকারি অবস্থানের বিপরীতে মত প্রকাশের কারণে টার্গেটে পরিণত হয়েছিলেন। এক বিবৃতিতে বিশেষজ্ঞরা বলেন, নিকারাগুয়ায় যে কেউ নিজের অধিকার রক্ষার চেষ্টা করলেই জোরপূর্বক নিখোঁজ হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে। এটি অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, এসব গুমের ঘটনা উচ্চপর্যায়ের নির্দেশে সংঘটিত হচ্ছে এবং পুরো সমাজে ভয় ছড়িয়ে দেওয়াই এর উদ্দেশ্য। এই অভিযোগের বিষয়ে দেশটির সরকারের দিক থেকে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। বিশেষজ্ঞদের হিসেবে গুমের শিকার ব্যক্তির সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। কারণ অনেক পরিবার ও আইনজীবী হামলার আশঙ্কায় অভিযোগ জানাতে ভয় পাচ্ছেন। জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞরা নিকারাগুয়া সরকারকে স্বেচ্ছাচারিতা বন্ধ করতে ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্ত শুরু করার আহ্বান জানান। গত মাসে জাতিসংঘের আরেকটি দল দাবি করে, ওর্টেগার সরকার এখন বিদেশে থাকা নিকারাগুয়ান নাগরিকদের বিরুদ্ধেও দমন অভিযান চালাচ্ছে। ২০১৮ সালের এপ্রিল থেকে নিকারাগুয়া গভীর রাজনৈতিক সংকটে নিমজ্জিত। সামাজিক আন্দোলনের বিরুদ্ধে পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনীর সহিংস দমন অভিযানে এখন পর্যন্ত অন্তত ৩৫৫ জন নিহত, দুই হাজারের বেশি আহত এবং কয়েক লাখ মানুষ দেশত্যাগে বাধ্য হয়েছেন বলে মানবাধিকার সংস্থাগুলোর প্রতিবেদন জানায়।