যুক্তরাজ্য থেকে চুরি হওয়া সবচেয়ে দামী গাড়ি মিলল করাচিতে

যুক্তরাজ্য থেকে চুরি যাওয়া একটি বিলাসবহুল গাড়ি পাকিস্তানের করাচির রাস্তায় পাওয়া গেছে। ইন্টারপোল ম্যানচেস্টার বিষয়টি নিশ্চিত করে সিন্ধু পুলিশকে গাড়িটি উদ্ধারে সহায়তা করার অনুরোধ জানিয়েছে। পুলিশ সূত্র জানায়, গাড়িটি ২০২২ সালের ২২ নভেম্বর যুক্তরাজ্যের হারোগেট শহর থেকে চুরি হয়েছিল। ন্টারপোল ম্যানচেস্টার থেকে পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়েছে, ট্র্যাকিং ডিভাইসের সর্বশেষ সংকেত করাচির সাদ্দার ও করাচি করাঙ্গি সড়কের আশপাশে পাওয়া গেছে। প্রথমদিকে গাড়িটির ট্র্যাকিং ডিভাইস যুক্তরাজ্যের লিডস শহরে সংযোগ হারায়। তবে গত ১১ ফেব্রুয়ারির সর্বশেষ রেকর্ডে দেখা যায়, গাড়িটি ইতোমধ্যে পাকিস্তানে পৌঁছেছে।সিন্ধু পুলিশ সূত্রের দাবি, গাড়িটি উদ্ধারে বিশেষ অভিযান শুরু করা হয়েছে। ইন্টারপোলের অনুরোধের পর করাচির বিভিন্ন সম্ভাব্য স্থানে নজরদারি চালানো হচ্ছে।ইন্টারনেট

মিউনিখ বিমানবন্দরে ড্রোন দেখা যাওয়ায় বিমান চলাচল বন্ধ

জার্মানির ব্যস্ততম মিউনিখ বিমানবন্দরের আকাশ সীমায় বেশ ক’টি ড্রোন দেখা যাওয়ার পর সেখানাকার বিমান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পুলিশের এক মুখপাত্র শুক্রবার ভোরে এএফপি’কে এ তথ্য জানিয়েছেন। ইউরোপ জুড়ে একই ধরণের বিমান চলাচলে বিঘ্নের এটি সর্বশেষ ঘটনা। এর আগে ডেনমার্ক, নরওয়ে ও পোল্যান্ডের বিমানবন্দরে সম্প্রতি অজ্ঞাত ড্রোন দেখা গেলে চলাচল স্থগিত করা হয়। এদিকে ড্রোন উড়ানোর জন্য রোমানিয়া ও এস্তোনিয়া রাশিয়ার দিকে আঙুল তুলেছে। তবে রাশিয়া এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে।বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎ করে বিমানবন্দর ১৭টি ফ্লাইট বাতিল করায় তিন হাজার যাত্রী আটকে পড়েছেন। বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ১৫টি আগত ফ্লাইটের যাত্রাপথ ঘুরিয়ে সেগুলোকে স্টুটগার্ট, নুরেমবার্গ, ভিয়েনা এবং ফ্রাঙ্কফুর্টসহ অন্যান্য নগরীতে পাঠানো হয়েছে।মিউনিখে ক্ষতিগ্রস্ত যাত্রীদের জন্য ‘ক্যাম্প বেড স্থাপন করা হয়েছে এবং কম্বল, পানীয় ও খাবার সরবরাহ করা হয়েছে।’ তবে আবার কখন ফ্লাইটগুলো চালু হবে সে সম্পর্কে নির্দিষ্ট করে জানায়নি।পুলিশের এক মুখপাত্র এএফপি’কে বলেছেন, বৃহস্পতিবার বিমানবন্দরের আশেপাশে বেশ ক’টি ড্রোন দেখতে পাওয়া যায়। ড্রোনগুলো কোথা থেকে এসেছে শনাক্ত করার জন্য তদন্ত শুরু করেছে জার্মান কর্তৃপক্ষ।উল্লেখ্য, ডেনমার্কে ড্রোন দেখা যাওয়া এবং এস্তোনিয়া ও পোল্যান্ডে মস্কোর হাই-প্রোফাইল বিমান হামলার ফলে ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার হামলা ইউরোপের সীমান্ত পেরিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা আরো বেড়েছে। এএফপি

৫ বছর পর ফের চালু হচ্ছে ভারত ও চীনের সরাসরি ফ্লাইট

পাঁচ বছর পর ফের ভারতের সঙ্গে চীনের সরাসরি ফ্লাইট চালু হতে যাচ্ছে। করোনাকালীন ২০২০ সালে এই ফ্লাইটগুলো বন্ধ হয়েছিল। পরে সীমান্ত উত্তেজনার কারণে তা আর চালু হয়নি।বৃহস্পতিবার ভারতের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করায় নির্দিষ্ট কয়েকটি শহরের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।ভারতের চীনা দূতাবাস জানিয়েছে, চলতি অক্টোবরের শেষ দিক থেকে নির্দিষ্ট শহরগুলোর মধ্যে ফ্লাইট চালু হবে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বাণিজ্যিক এয়ারলাইনসগুলো। এটি দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক ধীরে ধীরে স্বাভাবিক করার ভারত সরকারের উদ্যোগের অংশ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।এদিকে, ভারতের সবচেয়ে বড় বেসরকারি বিমান সংস্থা ইন্ডিগো গত বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছে, আগামী ২৬ অক্টোবর থেকে কলকাতা ও চীনের গুয়াংজুর মধ্যে তাদের সরাসরি ফ্লাইট চালু হবে। বিবিসি ও এনডিটিভি।

কানাডায় হামের প্রাদুর্ভাবে এই প্রথম মৃত্যু

কানাডায় হাম রোগের পুনরুত্থানের পর এই প্রথম মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।বৃহস্পতিবার কর্মকর্তারা জানান, দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য আলবার্টায় প্রিম্যাচুউর এক শিশু এ রোগে মারা গেছে। গত বছর দেশটিতে হামের পুনরুত্থান ঘটে। আলবার্টার স্বাস্থ্যমন্ত্রী আদ্রিয়ানা লাগ্রাঞ্জ এক বিবৃতিতে বলেন, গর্ভাবস্থায় মায়ের হাম ধরা পড়ে। পরে তার শিশুটিও জন্মের পরপরই মারা যায়। তার মৃত্যুর কারণও ছিল হাম।গত জুনে কানাডায় আরও একটি প্রিম্যাচুউর শিশু হামে মারা যায়। তবে কর্তৃপক্ষ তখন বলেছিল শিশুটির অন্য চিকিৎসাজনিত জটিলতা ছিল। কিন্তু মৃত্যুর সঠিক কারণ স্পষ্ট করে জানায়নি। লাগ্রাঞ্জ তার বিবৃতিতে সতর্ক করে দেন, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু, গর্ভবতী এবং দুর্বল রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষ সবচেয়ে বেশি হামের ঝুঁকিতে রয়েছে।কানাডা ১৯৯৮ সালে টিকার মাধ্যমে হাম নির্মূলের ঘোষণা দেওয়া হয়। কিন্তু ২০২৪ সালের অক্টোবরে দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশের নিউ ব্রান্সউইকে রোগটির প্রাদুর্ভাব শুরু হয়।২০২৫ সালের এ পর্যন্ত মোট ৫ হাজার ৬টি সংক্রমণের ঘটনা ধরা পড়েছে। যার বেশিরভাগই আলবার্টা ও অন্টারিও প্রদেশে। জানা যায়, আক্রান্তদের ৮৮ শতাংশই টিকা নেননি। এটি শ্বাসনালির ভাইরাসজনিত রোগ। হাম আক্রান্ত ব্যক্তির কাশি, হাঁচি বা শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে রোগটি ছড়ায়। এ রোগে জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও ফুসকুড়ি দেখা দেয়। এমনকি নিউমোনিয়া, মস্তিষ্কের প্রদাহসহ গুরুতর জটিলতা মৃত্যুঝুঁকিও তৈরি হতে পারে। এএফপি।