ইন্টারনেট: ছয় বছর অতিক্রান্ত। জম্মু-কাশ্মীরকে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা ফেরত দিতে তাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখলেন লোকসভা ও রাজ্যসভার বিরোধী নেতা রাহুল গান্ধী ও মল্লিকার্জুন খাড়গে। গত বুধবার ওই চিঠিতে তাঁরা বলেছেন, সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশনেই এ জন্য প্রয়োজনীয় আইন পাস করা হোক। ২১ জুলাই থেকে সংসদের অধিবেশন শুরু হচ্ছে। চলবে আগামী ২১ আগস্ট পর্যন্ত। এই দাবির পাশাপাশি তাঁরা কেন্দ্রশাসিত লাদাখকে সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলের অন্তর্ভুক্ত করারও অনুরোধ জানিয়েছেন। জম্মু-কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দিতে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানিয়ে এই চিঠি লেখার জন্য কেন্দ্রশাসিত এই অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ কংগ্রেস নেতাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
জম্মু-কাশ্মীরকে দ্বিখণ্ডিত করে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গড়ে তোলা হয়েছিল ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট। বাতিল করা হয়েছিল জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা। খারিজ করা হয়েছিল সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ। যদিও বলা হয়েছিল, এই ব্যবস্থা সাময়িক। জম্মু-কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ঠিক সময়ে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। সে জন্য বিধানসভা জিইয়ে রাখা হয়েছিল। পরবর্তীকালে রাজ্যে প্রথমে স্থানীয় প্রশাসন (পৌরসভা ও পঞ্চায়েত), তারপর গত মে-জুন মাসে লোকসভা এবং আগস্ট-সেপ্টেম্বরে বিধানসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু আজও রাজ্যের মর্যাদা ফেরানো হয়নি।
ভারতে বহুবার বড় রাজ্য ভেঙে ছোট রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গড়ে তোলা হয়েছে। যেমন পাঞ্জাব ভেঙে হয়েছে হিমাচল প্রদেশ ও হরিয়ানা। উত্তর প্রদেশ ভেঙে হয়েছে উত্তরাখন্ড। বিহার ভেঙে ঝাড়খন্ড। মধ্যপ্রদেশ ভেঙে ছত্তিশগড়। অন্ধ্র প্রদেশ ভেঙে তেলেঙ্গানা। কিন্তু কখনো কোনো রাজ্য ভেঙে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গড়ে তোলা হয়নি। জম্মু-কাশ্মীর সেই নিরিখে অনন্য। খাড়গে ও রাহুল প্রধানমন্ত্রীকে এ কথা মনে করিয়ে দিয়ে বলেছেন, গত ছয় বছরে জম্মু-কাশ্মীরের মানুষ ধারাবাহিকভাবে রাজ্যের মর্যাদা প্রাপ্তির দাবি জানিয়ে আসছেন।