রয়টার্স : বিশ্বজুড়ে মশাবাহিত চিকুনগুনিয়া ভাইরাসের প্রকোপ ঠেকাতে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। দুই দশক আগের মতো করে ভাইরাসটি যেন আবারও মহামারিতে রূপ না নেয়, তা নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দেখা দেওয়া নতুন প্রাদুর্ভাব ইউরোপসহ অন্যান্য মহাদেশে ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষাপটে গতকাল মঙ্গলবার এই আহ্বান জানানো হয়েছে। ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চলের কয়েকটি এলাকায় এখন পর্যন্ত ১২টি স্থানীয় সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। এর মানে হলো, আক্রান্ত এ ব্যক্তিরা বিদেশে প্রাদুর্ভাবের এলাকাগুলো ভ্রমণ করেননি। তারা স্থানীয়ভাবে মশার কামড়ের মধ্য দিয়ে সংক্রমিত হয়েছেন। গত সপ্তাহে ইতালিতেও এমন একজন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ডব্লিউএইচওর চিকিৎসা কর্মকর্তা দিয়ানা রোহাস আলভারেজ সাংবাদিকদের বলেন, বিশ্বের ১১৯টি দেশের ৫৬০ কোটি মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে আছে। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে অনেক জ্বর, অস্থিসন্ধিতে তীব্র ব্যথা এবং দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক অক্ষমতা দেখা দিতে পারে।
২০০৪-০৫ সালে বিশ্বে চিকুনগুনিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছিল। এই প্রকোপের শুরুটা হয়েছিল ছোট ছোট দ্বীপ অঞ্চলগুলোয়। পরে তা বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল। ওই সময় প্রায় ৫ লাখ মানুষ চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হন। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ডব্লিউএইচও-এর চিকিৎসা কর্মকর্তা দিয়ানা রোহাস আলভারেজ সাংবাদিকদের বলেন, বিশ্বের ১১৯টি দেশের ৫৬০ কোটি মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে আছে। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে অনেক জ্বর, অস্থিসন্ধিতে তীব্র ব্যথা এবং দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক অক্ষমতা দেখা দিতে পারে। চিকুনগুনিয়ার নতুন প্রকোপ শুরু হয়েছে ২০২৫ সালের প্রথম থেকে। ভারত মহাসাগরীয় দ্বীপ লা রিইউনিয়ন, মায়োত ও মরিশাসে বড় ধরনের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। আলভারেজ বলেন, লা রিইউনিয়ন দ্বীপের এক-তৃতীয়াংশ মানুষ ইতিমধ্যে চিকুনগুনিয়া ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এখন এই ভাইরাস মাদাগাস্কার, সোমালিয়া ও কেনিয়ার মতো দেশে ছড়িয়ে পড়ছে। ভারতসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে এ ভাইরাস মহামারির মতো করে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। সবচেয়ে বেশি চিন্তার বিষয় হলোÍইউরোপে এখন বাইরের দেশ থেকে আসা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। আর সেখানে মশার মাধ্যমে স্থানীয়ভাবেও মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। রোহাস আলভারেজ বলেন, ১ মে থেকে ফ্রান্সে এখন পর্যন্ত প্রায় ৮০০টি চিকুনগুনিয়ার সংক্রমণ পাওয়া গেছে, যা দেশের বাইরে থেকে ছড়িয়েছে। চিকুনগুনিয়ার নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই। এটি মূলত টাইগার মশার মতো এডিস প্রজাতির মশার মাধ্যমে ছড়ায়। এই রোগ খুব দ্রুত ও বড় আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এডিস প্রজাতির মাধ্যমে ডেঙ্গু ও জিকা ভাইরাসও ছড়ায়।
ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চলের কয়েকটি এলাকায় এখন পর্যন্ত ১২টি স্থানীয় সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। এর অর্থ হলো, আক্রান্ত এ ব্যক্তিরা বিদেশে প্রাদুর্ভাবের এলাকাগুলো ভ্রমণ করেননি। তাঁরা স্থানীয়ভাবে মশার কামড়ের মধ্য দিয়ে সংক্রমিত হয়েছেন। গত সপ্তাহে ইতালিতেও এমন একজন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। চিকুনগুনিয়ার নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই। এটি মূলত টাইগার মশার মতো এডিস প্রজাতির মশার মাধ্যমে ছড়ায়। এই রোগ খুব দ্রুত ও বড় আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে।