নিকাব নিষিদ্ধে পার্লামেন্টে বিল পাস করল পর্তুগাল

নিকাব পরা নিষিদ্ধ করতে পর্তুগালের পার্লামেন্টে একটি বিল পাস হয়েছে। মূলত অধিকাংশ উন্মুক্ত স্থান বা জনসমক্ষে ‘লিঙ্গভিত্তিক ও ধর্মীয় উদ্দেশ্যে’অতি দক্ষিণপন্থী চেগা পার্টি এ বিল উত্থাপন করেছিল।শুক্রবার পাস হওয়া বিলটিতে জনসমক্ষে নিকাব পরার জন্য ২০০ থেকে ৪ হাজার ইউরো জরিমানা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। সেই সঙ্গে কাউকে তা পরতে বাধ্য করলে সর্বোচ্চ তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। তবে উড়োজাহাজ, কূটনৈতিক প্রাঙ্গণ ও উপাসনালয়ে নিকাব পরা যাবে। পর্তুগালের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, সাংবিধানিক বিষয়–সম্পর্কিত আইন পর্যালোচনার দায়িত্বে থাকা সংসদীয় কমিটিতে এখন বিলটি নিয়ে আলোচনা হবে।পর্তুগালের প্রেসিডেন্ট মার্সেলো রেবেলো ডি সুজা বিলটিতে ভোটো দিতে পারেন কিংবা আরও যাচাই-বাছাইয়ের জন্য সাংবিধানিক আদালতে পাঠাতে পারেন।তবে বিলটি শেষ পর্যন্ত আইনে পরিণত হলে পর্তুগালও ইউরোপের সেসব দেশের তালিকায় নাম লেখাবে, যারা জনসমক্ষে নিকাব পরার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে- ফ্রান্স, অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম ও নেদারল্যান্ডসে উন্মুক্ত স্থানে নিকাব পরা আংশিক বা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। রয়টার্স, আল-জাজিরা, দ্য গার্ডিয়ান

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কায় খাদ্য মজুদের পরিকল্পনা সুইডেনের

দীর্ঘদিন ধরে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। প্রতিনিয়ত বিশ্বের বিভিন্ন গণমাধ্যমে রুশ বাহিনী ইউক্রেনের বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা ও অঞ্চল নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার খবর প্রকাশিত হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে চলতি বছর বা আগামী ২০২৬ সালের মধ্যে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার আশঙ্কা করছে সুইডেন। তাই সংকট এড়াতে আগে খাদ্য মজুতের ঘোষণা দিয়ে দেশটি। বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশগুলোর অন্যতম শীর্ষে রয়েছে সুইডেন। দেশটির কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থা বোর্ড অব এগ্রিলকালচার স্থানীয় সময় বুধবার এক বিবৃতিতে খাদ্য মজুতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এতে বলা হয়, বর্তমান বিশ্ব রাজনীতির যে অবস্থা বিরাজ করছে, তাতে যে কোনো সময় পরিস্থিতি গুরুতর রুপ নিতে পারে। এমনকি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হয়ে যেতে পারে। এ লক্ষ্যে জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শস্যসহ অন্যান্য খাদ্য উপাদান মজুতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সুইডেন সরকার এই প্রকল্পের জন্য ৫ কোটি ৭০ লাখ ডলার বরাদ্দ দিয়েছে বলে বিবৃতিতে তুলে ধরা হয়। এতে উল্লেখ করা হয়, আগামী ২০২৬ সাল থেকে ২০২৮ সালের মধ্যে দেশজুড়ে বেশ কয়েকটি খাদ্য গুদাম তৈরি করা হবে। সম্ভাব্য যুদ্ধের সময় প্রতিটি নাগরিক যেন প্রতিদিন ন্যুনতম ৩ হাজার ক্যালরি পরিমাণ খাদ্য পায়, তা নিশ্চিত করা হবে। অন্যদিকে সুইডেনের প্রতিবেশী দেশ ফিনল্যান্ডও সম্ভাব্য প্রস্তুতি সেরে রেখেছে। তারা জানিয়েছে, যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে দৈনন্দিন কাজ চালিয়ে যেতে আগামী মাস থেকে তারা নাগরিকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করবে। এদিকে এমন সংবাদ প্রকাশের পর এক প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিনের এক কর্মকর্তা রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি-কে জানিয়েছেন, পশ্চিমা বিশ্ব রুশবিরোধী মানসিক ব্যাধীতে ভুগছে। আরটি

কলম্বিয়ায় পুলিশের ওপর হামলা ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভকারীদের

কলম্বিয়ার রাজধানীতে গত শুক্রবার মার্কিন দূতাবাসের বাইরে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ চলাকালে বিক্ষোভকারীদের তীর ও বিস্ফোরক নিক্ষেপে চার পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।বোগোটার মেয়র কার্লোস ফার্নান্দো গ্যালান বলেন, “অপরাধীদের মধ্যে কয়েকজন আগুন লাগানোর যন্ত্র, বিস্ফোরক ও তীর-ধনুক দিয়ে দূতাবাসে হামলা চালায়। এই হামলাকারীরা মুখোশ পরা ছিল।”তিনি আরও বলেন, এই ঘটনায় চার পুলিশ কর্মকর্তা মুখ, পা ও হাতে আঘাত পেয়েছেন।প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দূতাবাসের বাইরে একটি বিশৃঙ্খল দৃশ্যের ছবি শেয়ার করেছে, যার মধ্যে একটিতে একজন কর্মকর্তার বাহুতে তীর আটকে আছে।‘কংগ্রেসো দে লস পুয়েব্লোস’ (পিপলস কংগ্রেস) নামে পরিচিত দলটির মুখপাত্র জিমি মোরেনো সংবাদমাধ্যমকে বলেন, প্রতিবাদী দলটি ট্রাম্পের ডানপন্থী এজেন্ডার নিন্দা জানাতে দূতাবাসের বাইরে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।তিনি আরও বলেন, “আমরা আমাদের সার্বভৌমত্বের উপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনও ধরনের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে।”জিমি বলেন, ফিলিস্তিনিদের গণহত্যায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জড়িত, ল্যাটিন আমেরিকায় তাদের হস্তক্ষেপ ও ক্যারিবীয় অঞ্চলে তাদের হুমকির বিরুদ্ধে এবং ভেনিজুয়েলিয়ান বলিভার মডেলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছি।দলটি সোমবার বোগোটার বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ শুরু করে। কিন্তু শুক্রবার পর্যন্ত তারা সহিংস হয়ে ওঠেনি।কলম্বিয়ার বামপন্থী প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ একটি পোস্টে লিখেছেন, তিনি বোগোটায় মার্কিন দূতাবাসের সঙ্গে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দিয়েছেন। তবে ‘একটি সাম্রাজ্যবাদ-বিরোধী ফ্রন্ট’ গড়ে তোলার জন্য তারা সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। এএফপি