এশিয়া
বেলুচ লিবারেশন আর্মি কেন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াই করছে
মঙ্গলবার পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় বেলুচিস্তান প্রদেশে জাফর এক্সপ্রেস ট্রেনে হামলার দায় স্বীকার করেছে বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্রগোষ্ঠী বেলুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ)। এই হামলায় শতাধিক যাত্রী জিম্মি হয়ে পড়েন, যখন ট্রেনটি বেলুচিস্তানের একটি সুড়ঙ্গে হাইজ্যাক করা হয়।
Printed Edition
১২ মার্চ, ইন্টারনেট: মঙ্গলবার পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় বেলুচিস্তান প্রদেশে জাফর এক্সপ্রেস ট্রেনে হামলার দায় স্বীকার করেছে বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্রগোষ্ঠী বেলুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ)। এই হামলায় শতাধিক যাত্রী জিম্মি হয়ে পড়েন, যখন ট্রেনটি বেলুচিস্তানের একটি সুড়ঙ্গে হাইজ্যাক করা হয়।
বিএলএ দাবি করেছে, তারা এই হামলার মাধ্যমে পাকিস্তান সরকারকে তাদের রাজনৈতিক দাবির প্রতি মনোযোগ আকর্ষণ করতে চেয়েছে। এই সন্ত্রাসীগোষ্ঠীটি দীর্ঘদিন ধরেই বেলুচিস্তানের স্বাধীনতার জন্য পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে আসছে।
বিএলএ, যেটি ২০১১ সাল থেকে সক্রিয়, বেলুচিস্তান প্রদেশের সবচেয়ে বড় বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী। পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়ই এই গোষ্ঠীটিকে সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করেছে। বেলুচ জনগণের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের শোষণ এবং বেলুচিস্তানের প্রাকৃতিক সম্পদ নিয়ে বিতর্কের কারণে তারা বার বার পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর আক্রমণ চালিয়েছে।
বিএলএর লক্ষ্য কী?
বিএলএ’র দাবি, ১৯৪৮ সালে সাবেক রাজা কালাতের খানকে জোর করে পাকিস্তানের সঙ্গে একত্রীকরণের চুক্তিতে স্বাক্ষর করানো হয়, যার পর থেকে তারা বেলুচিস্তানের স্বাধীনতা এবং প্রদেশের সম্পদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে।
জাফর এক্সপ্রেসে যাত্রী জিম্মি
জাফর এক্সপ্রেস ট্রেনে প্রায় ৪০০ যাত্রী ছিল, যখন এটি হামলা ও জিম্মির শিকার হয়। গোষ্ঠীটি ২১৪ জন যাত্রীকে যুদ্ধবন্দী হিসেবে আটক করে এবং পাকিস্তানকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বেলুচ রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি দিতে আল্টিমেটাম দেয়। নিরাপত্তা বাহিনী পরে ১০৪ জন যাত্রীকে উদ্ধার করে এবং ১৬ জন বেলুচ বিদ্রোহীকে হত্যা করে। হতাহতের সংখ্যা এখনো সুনির্দিষ্ট নয়।