থারটি, আল-জাজিরা, রয়টার্স : সাম্প্রতিক ১২ দিনের যুদ্ধে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনা ছিল বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাতজ। গত বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম চ্যানেল কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি। তাদের পরিকল্পনায় যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তি ছিল বলে সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত খবরের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কারও অনুমতি তাদের প্রয়োজন নেই। তার দাবি, এই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা আঁচ করতে পেরে অজ্ঞাত স্থানে আশ্রয় নিয়েছিলেন খামেনি। এমনকি ইসরায়েলের প্রথম দফা হামলায় নিহত রেভল্যুশনারি গার্ড নেতাদের স্থলাভিষিক্তদের সঙ্গেও যোগাযোগ করেননি তিনি।

তবে যুদ্ধের মধ্যেও ভিডিও বার্তা দিয়েছেন খামেনি। তার কথাবার্তায় সামরিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্নের কোনও আলামত পাওয়া যায়নি। খামেনি ইরানের কার্যত নেতা (ডি ফ্যাক্টো লিডার) এবং বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা লাখো শিয়া মুসলিমের সর্বোচ্চ আধ্যাত্মিক গুরু হিসেবে স্বীকৃত। স্বাভাবিকভাবেই, তাকে হত্যার পরিণতি ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কা ছিল। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধ চলাকালীন বলেছিলেন, এই সংঘর্ষের কারণে ইরানে শাসকগোষ্ঠীর পতন হতে পারে। ট্রাম্প তো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলেই বসেন, ইরানকে আবারও মহান করুন (মেইক ইরান গ্রেট অ্যাগেইন)।

ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা গুঁড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েল, পরে তাদের সঙ্গে যোগ দেয় যুক্তরাষ্ট্র। হামলায় ইরানের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিচ্ছে ইরান এবং যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল। ইরানের দাবি, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিয়ে অতিরঞ্জিত বক্তব্য দিচ্ছে মার্কিন প্রশাসন। কাতজের দাবি, ইরান তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আবারও অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করলে ইসরায়েলকে হামলার সবুজ সংকেত দিয়ে রেখেছেন ট্রাম্প। তবে সাম্প্রতিক হামলার পর ইরান তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি পুনরায় শুরু করতে পারবে বলে বিশ্বাস করেন না তিনি।