২২ মার্চ, ডেইলি সাবাহ: পবিত্র রমযান মাসের তৃতীয় শুক্রবারেও আল আকসা মসজিদে নামাযের জন্য ফিলিস্তিনীদের প্রবেশাধিকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ইসরাইল। জেরুসালেমের উত্তরে অবস্থিত কালান্দিয়া চেকপয়েন্টে ইসরাইলী সেনাবাহিনী ব্যক্তিগত পরিচয়পত্র এবং নামাযের অনুমতিপত্র পরীক্ষা করেছে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও কয়েক ডজন ফিলিস্তিনীকে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

উত্তর পশ্চিম তীরের আল-ইয়ামনের ইবরাহিম আওয়াদ আনাদোলু এজেন্সি (এএ) কে বলেন, ‘আমি চেকপয়েন্টে পৌঁছেছিলাম। সেখানে আমার পরিচয়পত্র পরীক্ষা করার পরে, কোনও ব্যাখ্যা ছাড়াই আমাকে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়। ’ আওয়াদ বলেন, ‘আমি চলে যাওয়ার পর, আমার ফোনে একটি ম্যাসেজ পেয়েছি যাতে বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘উস্কানির’ কারণে আমাকে জেরুজালেমে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। ’ তবে তিনি এই অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তিনি কেবল ভুক্তভোগীদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন।

তিনি বলেছেন, ‘দখলদাররা কণ্ঠস্বর বন্ধ করে দিতে চায়। তারা চায় না যে আমরা ভুক্তভোগীদের প্রতি সহানুভূতিশীল হই এবং জেরুজালেমে পৌঁছাই। ’ অনুমতি থাকা সত্ত্বেও প্রবেশে বাধা দেওয়ায় ৬৭ বছর বয়সি ইসমাইল আবদুল্লাহ হতাশা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি এমন পরিস্থিতি কখনও দেখিনি। এটা একটা ভয়াবহ পরিস্থিতি... আমরা কী বলব? ইসরাইলীরা ফিলিস্তিনে কাউকে চায় না, জেরুজালেমেও না, অন্য কোথাওও না। ’

রামাল্লা জেলার বেইত উর আল-তাহতা শহরের আরেক বৃদ্ধ সাদিক মোহাম্মদ বলেন, ‘আমার বয়সেও তারা আমাকে জেরুজালেমে প্রবেশাধিকার এবং আল-আকসায় নামায পড়তে বাধা দেয়, দাবি করে যে, আমার নামাযের অনুমতি নেই। ’ গত ৬ মার্চ ইসরাইলী প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু রমযান মাসে শুক্রবারে আল-আকসা মসজিদে ফিলিস্তিনী মুসল্লিদের প্রবেশাধিকারের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে। নতুন বিধিনিষেধের অধীনে, শুধুমাত্র ৫৫ বছরের বেশি বয়সি পুরুষ, ৫০ বছরের বেশি বয়সি নারী এবং ১২ বছরের কম বয়সি শিশুরা আল-আকসা মসজিদে প্রবেশ করতে পারবে। তবে, প্রবেশাধিকার পূর্ববর্তী নিরাপত্তা ছাড়পত্র এবং নির্ধারিত চেকপয়েন্টে পুঙ্খানুপুঙ্খ নিরাপত্তা তল্লাশির ওপর নির্ভর করবে।