আল-জাজিরা , এক্সে,টাইমস অব ইসরাইল,এনডিটিভি : যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের একটি বড় টানেল খুঁজে পাওয়ার দাবি করেছে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। নতুন সন্ধান পাওয়া টানেলটি সাত কিলোমিটার লম্বা, ২৫ ফুট গভীর। গত বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছে আইডিএফ। পোস্টে বলা হয়েছে, ৭ কিলোমিটার লম্বা টানেলটি গাজার দক্ষিণের ঘনবসতিপূর্ণ রাফা শহরের নিচ দিয়ে গিয়েছে। এছাড়া জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা ইউএনআডিব্লিউএ, শিশুদের স্কুল, হাসপাতাল এবং মসজিদের মধ্য দিয়ে টানেলটি গিয়েছে বলেও দাবি করেছে আইডিএফ। ইসরাইলি সেনাবাহিনী আরও দবি করে, হামাস কমান্ডাররা অস্ত্র সংরক্ষণ, আক্রমণ পরিকল্পনা এবং বসবাসের জন্য এই টানেলটি ব্যবহার করত।

আইডিএফের তথ্যমতে, নতুন সন্ধান পাওয়া টানেলটি সাত কিলোমিটার লম্বা, ২৫ ফুট গভীর এবং ভেতরে অন্তত ৮০টি গোপন কক্ষ রয়েছে। ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৪ সালে হামাসের হাতে নিহত ইসরাইলের সেনা সদস্য হাদার গোল্ডইনকে এই সুড়ঙ্গে রাখা হয়েছিল। প্রায় ১১ বছর পরে চলতি নভেম্বর মাসের শুরুতে সেখান থেকেই গোল্ডইনের দেহাবশেষ খুঁজে পায় ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী। আইডিএফ আরও জানায়, গত মে মাসে হামাসের অন্যতম শীর্ষ নেতা মোহাম্মদ সিনওয়ারের সঙ্গে নিহত মুহাম্মদ শাবানাসহ সিনিয়র হামাস কমান্ডারদের কমান্ড পোস্ট হিসেবে ব্যবহৃত কক্ষগুলো খুঁজে পেয়েছে তারা। পৃথক আরেক পোস্টে আইডিএফ জানায়, হাদার গোল্ডইন হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে এক হামাস সদস্যকে গ্রেফতার করেছে তারা। গাজার যে সুড়ঙ্গে হাদার গোল্ডিনের মরদেহ রাখা হয়েছিল, সেটি ৭ কিলোমিটার দীর্ঘ, ৮০টি কক্ষ রয়েছে বলে জানায় আইডিএফ।

এদিকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর গত এক মাসে গাজা উপত্যকায় কমপক্ষে ৬৭ জন ফিলিস্তিনি শিশু নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ (ইউনিসেফ)। গত শুক্রবার জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে ইউনিসেফের মুখপাত্র রিকার্ডো পিরেস বলেন, ‘নিহতদের মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের একটি বাড়িতে বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি বিমান হামলায় এক নবজাতক কন্যাশিশু নিহত হয়। এছাড়াও এক দিন আগে ইসরায়েলি বাহিনীর বিভিন্ন স্থানে চালানো হামলায় আরো সাত শিশু নিহত হয়। তিনি আরও বলেন, আমরা বহুবার বলেছি, এগুলো কেবল সংখ্যা নয়। প্রতিটি শিশু ছিল একটি পরিবার, একটি স্বপ্ন, একটি জীবন যা হঠাৎ করেই সহিংসতায় শেষ হয়ে গেছে। ইউনিসেফের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় প্রায় ৬৪ হাজার শিশু নিহত ও আহত হয়েছে।