ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি ইসরাইলের সঙ্গে ১২ দিনের যুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো জনসমক্ষে উপস্থিত হয়েছেন। শনিবার তেহরানে আশুরা উপলক্ষে এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে তার এই উপস্থিতি দেখা যায়, যা রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত ভিডিও ফুটেজে উঠে আসে। ৮৫ বছর বয়সী খামেনিকে ইমাম খোমেইনি মসজিদে প্রবেশের সময় উপস্থিত লোকজনকে দাঁড়িয়ে স্লোগান দিতে দেখা যায়। ভিডিওতে তাকে উপস্থিত জনতার প্রতি হাত নাড়াতে ও সম্মতিসূচক মাথা নাড়তে দেখা যায়। 

১৩ জুন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে খামেনি জনসমক্ষে আসেননি। তার সকল ভাষণই এ পর্যন্ত রেকর্ড করা ছিল। শনিবারের ভিডিওটি তার প্রথম সরাসরি উপস্থিতির প্রমাণ।

শনিবার খামেনির এ উপস্থিতি রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে গুরুত্বের সঙ্গে প্রচার করা হয় এবং টেলিভিশনে তাকে দেখে সমর্থকদের আবেগঘন প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করতে দেখা যায়।

ভিডিওতে দেখা গেছে, তিনি প্রবীণ শিয়া ধর্মীয় নেতা মাহমুদ কারিমিকে অনুরোধ করছেন দেশাত্মবোধক গান “ও ইরান” পরিবেশন করতে, যা সম্প্রতি ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় বিশেষ জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

এই অনুষ্ঠানটি তেহরানের ইমাম খোমেইনি মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়, যা ইরানের ইসলামি প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতার নামে নামকরণ করা।

খামেনির এই উপস্থিতি এমন এক সময়ে হলো, যখন ইরানসহ গোটা শিয়া বিশ্ব মোহররম মাসে শোক পালন করছে। মোহররমের দশম দিন (এই বছর ৬ জুলাই) পবিত্র আশুরা, যেদিন মুসলিমরা মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রিয় দৌহিত্র ইমাম হোসেইনের শাহাদতকে স্মরণ করেন।

প্রতিবছর আশুরার অনুষ্ঠানে খামেনিকে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়, কিন্তু এবার যুদ্ধকালীন অনুপস্থিতি নিয়ে নানা গুজব ও উদ্বেগ তৈরি হয়েছিল।