আনাদোলু এজেন্সি, আল-মানার, মেহর নিউজ, টাইমস অব ইসরাইল : ইসরাইলের প্রধান ও বৃহত্তম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বেন গুরিয়ন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহী গোষ্ঠী। তিনি অবশ্য বিমানবন্দরে সরাসরি হামলার ব্যাপারটি স্বীকার করেননি। শুক্রবার রাতে এক বিবৃতিতে হুথি মুখপাত্র জানান, এই দিন সন্ধ্যায় বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিকটবর্তী একটি সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করে কয়েকটি জুলফিকার ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্রগুলো অবশ্য বিমানবন্দরে আঘাত হানতে পারেনি। লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার আগেই সেগুলো ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ইসরাইলের সংবাদমাধ্যম। ইয়াহিয়া সারি জানিয়েছন, শুক্রবার বেনগুরিয়ন বিমান বন্দরে হামলার পাশাপাশি লোহিত সাগর ও আরব সাগরে টহলরত মার্কিন এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার জাহাজ লক্ষ্য করেও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে হুথি বিদ্রোহী গোষ্ঠী। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের একটি এমকিউ-৯ ড্রোন ভূপাতিতও করেছে। আগের দিন বৃহস্পতিবার ইয়েমেনের রাস ইসার তেলের টার্মিনালে হামলা চালায় মার্কিন বাহিনী। এতে নিহত হন অন্তত ৭৪ জন এবং আহন হন আরও ১৭ জন। এটি ছিল ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা। তার পরের দিনই পাল্টা হামলা চালাল হুথিরা। “যুক্তরাষ্ট্র যদি হামলা অব্যাহত রাখে তাহলে পাল্টা হামলা, সংঘাত ও সংঘর্ষের পরিমাণও বাড়বে, কমবে না,” বিবৃতিতে বলেছেন সারি। ‘লেবাননের প্রতিরোধ আন্দোলন কোনোভাবেই নিরস্ত্র হবে না’ বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন হিজবুল্লাহর মহাসচিব শেখ নাঈম কাসেম। শুক্রবার রাতে এক টেলিভিশন ভাষণে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।

তিনি কঠোর ভাষায় জানিয়ে দেন, ‘যারা আমাদের অস্ত্র কেড়ে নিতে চায়, তারা ইসরাইলী স্বার্থে ষড়যন্ত্র করছে’। তার ভাষায়, ‘এই অস্ত্রই আমাদের স্বাধীনতা এনেছে’। আল-মানার চ্যানেলে সম্প্রচারিত ভাষণে নাঈম কাসেম বলেন, ‘হিজবুল্লাহর অস্ত্র লেবাননের প্রতিরোধের মূল স্তম্ভ। সশস্ত্র এই গোষ্ঠীই দেশকে মুক্ত করেছে, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করেছে এবং আজও ইসরাইলের আগ্রাসনকে প্রতিহত করে চলেছে’। তার ভাষায়, ‘যারা আমাদের নিরস্ত্র করতে চায়, তারা আসলে দক্ষিণ লেবাননকে দখলের পথে ইসরাইলের জন্য পথ তৈরি করতে চায়’। হিজবুল্লাহ মহাসচিব এ সময় জানান, লেবাননে যুদ্ধবিরতির পরও ইসরাইল ২,৭০০-এরও বেশি বার আগ্রাসন চালিয়েছে। আমাদের প্রতিরোধ ছাড়া এই আগ্রাসন থামত না। তিনি আরও জানান, হিজবুল্লাহ সবসময় যুদ্ধবিরতির শর্ত মেনে চলেছে। তবে দখলদার ইসরাইল তা একের পর এক ভেঙে চলেছে। মার্কিন চাপ ও অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্রের বিষয়ে নাঈম কাসেম বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র লেবাননে নিজেদের ছায়া প্রশাসন বজায় রাখতে চায়। তারা আমাদের অস্ত্র কেড়ে নিতে চায়, যাতে লেবানন দুর্বল হয় এবং ইসরাইল সহজেই দেশটিকে গ্রাস করতে পারে’।