রয়টার্স: মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ইসরায়েল সফরে রওনা হয়েছেন। গত শনিবার ইসরায়েলের উদ্দেশে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়েন তিনি। কাতারে হামাস নেতাদের ওপর ইসরায়েলের হামলা এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইহুদি বসতি সম্প্রসারণকে কেন্দ্র করে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন মিত্র দেশগুলোতে ছড়িয়ে পড়া উত্তেজনার মধ্যেই এই সফর করছেন রুবিও। বিমানে ওঠার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন রুবিও। তিনি আবারও পুনর্ব্যক্ত করেন যে,কাতারে হামলার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সন্তুষ্ট নন।
রুবিও বলেন, তবে এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইসরায়েলের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রভাবিত হবে না। তবে এই হামলা গাজার জিম্মিদের পুনরুদ্ধারে ট্রাম্পের আকাঙ্ক্ষাকে কীভাবে প্রভাবিত করতে পারে, সে বিষয়ে ইসরায়েলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন তিনি। কীভাবে গাজা যুদ্ধের অবসান ঘটানো যেতে পারে, তা নিয়েও আলোচনা করবেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যা হওয়ার হয়েছে। আমরা তাদের সঙ্গে দেখা করব। ভবিষ্যতে কী হবে, তা নিয়ে কথা বলব। এখনও ৪৮ জন জিম্মি আছেন। অবিলম্বে তাদের সবাইকে মুক্ত করা দরকার।’
রুবিও বলেন, ‘গাজাকে এমনভাবে পুনর্র্নিমাণ করতে হবে, যাতে নিজেদের প্রত্যাশামাফিক মানসম্মত জীবনযাপন করতে পারেন সেখানকার বাসিন্দারা।’ তিনি আরও বলেন, ‘যদিও এখনও নির্ধারিত হয়নি কে এই কাজটি করবে, কে এর খরচ বহন করবে এবং কে পুরো প্রক্রিয়ার দায়িত্বে থাকবে।’ ইসরায়েল সফরের পর রুবিও আগামী সপ্তাহে ট্রাম্পের পরিকল্পিত ব্রিটেন সফরে যোগ দেবেন।
ইসরায়েল প্রায় দুই বছর ধরে ফিলিস্তিনের গাজায় হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ৬৪ হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। যুদ্ধের কারণে সেখানে তীব্র খাদ্যসংকট দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও মানবাধিকারকর্মীদের অভিযোগ, ইসরায়েল গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলের ১ হাজার ২০০ নিহত হন। হামাস ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায়।
হামাসের কাছে এখনো ৪৮ জন জিম্মি আছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মিলে এসব জিম্মিকে মুক্ত করার পাশাপাশি গাজা যুদ্ধের অবসানের লক্ষ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে অনেক দিন ধরে কাজ করছে কাতার।