দুই দেশের মধ্যকার উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির কারণে আফগানিস্তগামী পাকিস্তানি ট্রাকচালকরা বড় ধরনের অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছেন। সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ থাকায় শত শত ট্রাক সেখানে আটকে রয়েছে। রপ্তানিকারক ও লজিস্টিক অপারেটররা জানিয়েছেন, পাকিস্তান–আফগানিস্তান প্রধান সীমান্ত পথ বন্ধ করে দেওয়ার ফলে আঞ্চলিক বাণিজ্য ও পণ্য পরিবহন কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে।—দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন
তারা আরও জানান, দীর্ঘদিন আটক পড়ে থাকায় অনেক চালকের নগদ অর্থও শেষ হয়ে গেছে, যা নিয়ে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।
পাকিস্তান-আফগানিস্তান জয়েন্ট চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি জুনায়েদ মাকদা দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনকে জানিয়েছেন, আফগানিস্তান, ইরান এবং মধ্য এশিয়ার বাজারের জন্য চালান সীমান্তে আটকে থাকার কারণে কিন্নো ফল রপ্তানিকারক, পরিবহনকারী এবং লজিস্টিক সংস্থাগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত সংঘর্ষের পর গত ১১ অক্টোবর থেকে দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ রয়েছে- যা ২০২১ সালে তালেবানদের কাবুল দখলের পর সবচেয়ে ভয়াবহ লড়াই।
গত বছর পাকিস্তান ১১০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের কিন্নু রপ্তানি করেছিল, এই বছরের অনুমান ১০০ মিলিয়ন ডলার। মাকদা বলেন, রপ্তানিকারকরা আঞ্চলিক বাজারে চালান পাঠাতে পারছেন না, যার ফলে কৃষক, সরবরাহ-শৃঙ্খলা কর্মী এবং রপ্তানিকারকরা তীব্র চাপের মধ্যে পড়েছেন।
তিনি বলেন, দ্বিপক্ষীয়, ট্রানজিট এবং মধ্য এশীয় পণ্যবাহী হাজার হাজার কন্টেইনার পাকিস্তানজুড়ে আটকে আছে, যার মধ্যে আফগানিস্তান এবং উজবেকিস্তানের দিকে যাওয়ার চালানও রয়েছে। তিনি আরো বলেন, পরিবহনকারী এবং ক্লিয়ারিং এজেন্টদের প্রতি কন্টেইনারে দৈনিক ১৫০ থেকে ২০০ ডলার পর্যন্ত ডেমারেজ চার্জ দিতে হচ্ছে।