রয়টার্স : গাজার জন্য ত্রাণবাহী আন্তর্জাতিক নৌবহরের সুরক্ষার জন্য একটি যুদ্ধজাহাজ পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ। গত বুধবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অংশ নিতে গিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা এ খবর জানিয়েছে। সম্প্রতি গ্রিস উপকূলে ওই বহরে ড্রোন হামলার পর সুরক্ষার জন্য একটি যুদ্ধজাহাজ প্রেরণের ঘোষণা দেয় ইতালি। তাদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা জানিয়ে সানচেজ বলেন, গাজার জনগণের জন্য খাদ্য পৌঁছে দিতে এবং তাদের প্রতি সংহতি জানাতে ৪৫টি দেশের নাগরিক ওই বহরে অংশ নিয়েছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলার দাবি জানাচ্ছে স্পেন সরকার। ভূমধ্যসাগরে নিরাপদে চলাচলের ক্ষেত্রে আমাদের নাগরিকদের অধিকারকে সম্মান জানানো উচিত।
তিনি আরও জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার কার্তাহেনা থেকে একটি নৌযান পাঠানোর কথা। বাহনটি জরুরি পরিস্থিতিতে সহায়তা ও উদ্ধার অভিযান চালাতে সক্ষম। গাজার উদ্দেশ্যে ত্রাণ নিয়ে যাওয়া বহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’র প্রায় ৫০টি বেসামরিক নৌযান ইসরাইলের অবরোধ ভেঙে প্রবেশের চেষ্টা করছে। এতে বিভিন্ন দেশের আইনজীবী, অধিকারকর্মী ও পরিবেশ আন্দোলনকর্মী অংশ নিয়েছেন। তাদের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত ব্যক্তি হচ্ছেন সুইডিশ জলবায়ু কর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। ‘মার্চ টু গাজা গ্রিস’-এর মুখপাত্র মারিকাইতি স্টাসিনুর অভিযোগ, গ্রিসের গাভদোস দ্বীপের উপকূল থেকে ৩০ নটিক্যাল মাইল দূরে আন্তর্জাতিক জলসীমায় বহরটতে ১২টি ড্রোন দিয়ে হামলা চালানো হয়। থুনবার্গও জানান, প্রতিরাতে তাদের ওপর নজরদারি চালাচ্ছে ড্রোন। থুনবার্গ এক ভিডিও বার্তায় বলেন, এ মিশন আমাদের নিয়ে নয়, গাজা নিয়ে। আমরা যে ঝুঁকি নিচ্ছি, তা গাজার মানুষের প্রতিদিনের ঝুঁকির ধারেকাছেও নয়। ত্রাণ বহরটিকে হামাসের প্রতি পরোক্ষ সমর্থনের অভিযোগে প্রথম থেকেই সমালোচনা করে আসছে ইসরাইল। তবে সাম্প্রতিক ড্রোন হামলার বিষয়ে তারা কোনও মন্তব্য করেনি। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আক্রমণের জবাবে ইসরাইল গাজায় যুদ্ধ শুরু করে। ওই হামলায় প্রায় এক হাজার ২০০ জন মানুষ নিহত এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয় বলে ইসরাইলী হিসাব অনুযায়ী জানা গেছে। এরপর থেকে শুরু হওয়ার ইসরাইলী আগ্রাসনে ৬৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজা স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ।