ইন্টারনেট: অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে ভূমধ্যসাগর। চলতি বছর এই রুটে মৃত্যুর সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়েছে। জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এ তথ্য জানিয়েছে। সম্প্রীতি সংস্থাটি সতর্ক করে দিয়েছে, প্রতিটি নতুন ট্র্যাজেডির সঙ্গে সঙ্গে মৃতের সংখ্যাও বাড়তে থাকবে। এতে বলা হয়েছে, সর্বশেষ ৮ নভেম্বর লিবিয়ার উপকূলে দুর্ঘটনা ঘটেছে। সেখানে একটি রাবারের নৌকা ডুবে ৪০ জনের বেশি মানুষ নিখোঁজ বা নিহত হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় লিবিয়া কর্তৃপক্ষ আল বুরি তেলক্ষেত্রের কাছে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। নৌকাটি ৩ নভেম্বর লিবিয়ার জুয়ারা শহর থেকে রওনা দিয়েছিল।
আইওএম জানিয়েছে, নৌকাটিতে ৪৯ জন অভিবাসী এবং শরণার্থী, ৪৭ জন পুরুষ এবং দুই জন নারী ছিলেন। প্রচণ্ড ঢেউয়ের কারণে যাত্রা শুরুর প্রায় ছয় ঘণ্টা পরে ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। ছয় দিন ধরে সমুদ্রে ভেসে থাকার পর মাত্র সাত জন পুরুষ বেঁচে যান। এর মধ্যে সুদানের চার জন, নাইজেরিয়ার দুই জন এবং ক্যামেরুনের একজন। বাকি ৪২ জন এখনো নিখোঁজ এবং তাদের মৃত বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের দলগুলো বেঁচে যাওয়াদের আগমনের পর জরুরি চিকিৎসা সেবা, খাবার ও পানি সরবরাহ করছে। সংস্থাটি এক বিবৃতিতে বলেছে, সুরমান এবং ল্যাম্পেডুসার কাছে অন্যান্য মারাত্মক ঘটনার কয়েক সপ্তাহ পরেই এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে। এটি ঘটনাটি মধ্য ভূমধ্যসাগরীয় রুটে অভিবাসী এবং শরণার্থীদের ক্রমাগত মুখোমুখি হওয়া বিপদের কথা তুলে ধরে। সংস্থাটি আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার, নিরাপদ ও বৈধ অভিবাসন পথ সম্প্রসারণ এবং প্রাণহানি রোধে আরও কার্যকর অনুসন্ধান ও উদ্ধার প্রচেষ্টার আহ্বান জানিয়েছে। জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের ইউরোপ ও মধ্য এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক রেজিনা ডি ডোমিনিসিস জানিয়েছিলেন, ২০২৪ সালে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টা করতে গিয়ে ২ হাজার ২০০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে বা নিখোঁজ হয়েছেন।