রয়টার্স : কয়েকটি নির্বাচনে টানা পরাজয়ের পর পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা। গত রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, নতুন নেতৃত্ব নির্বাচিত হওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন। ৬৮ বছর বয়সী ইশিবা বলেছেন, তার নেতৃত্বাধীন লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এলডিপি) জরুরি নেতৃত্ব নির্বাচন করবে। গত এক বছরে দায়িত্ব পালনকালে সংসদের উভয় কক্ষের নির্বাচনে জোটের ভরাডুবি ঘটে। জীবনযাত্রার ব্যয়বৃদ্ধি নিয়ে ক্ষুব্ধ ভোটাররা সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। ইশিবা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি সই হওয়ায় আমরা একটি বড় বাধা অতিক্রম করেছি। এখন দায়িত্ব পরবর্তী প্রজন্মের কাছে হস্তান্তর করার সময় এসেছে। গত সপ্তাহে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার জেরে ইয়েন ও সরকারি বন্ডের বাজারে ধস নামে। বুধবার ৩০ বছরের বন্ডের আয় সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছায়। এলডিপি সোমবার জরুরি ভোটের ঘোষণা দেওয়ায় ইশিবার ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা তীব্র হয়। সম্ভাব্য উত্তরসূরিদের মধ্যে আছেন সাবেক মন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি। তিনি সম্প্রসারণমূলক আর্থিক নীতি ও সুদের হার বৃদ্ধির বিরোধিতার জন্য পরিচিত। আরেকজন সম্ভাব্য প্রার্থী কৃষিমন্ত্রী শিনজিরো কোইজুমি। তিনি খাদ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কাজ করে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। মেইজি ইয়াসুদা রিসার্চ ইনস্টিটিউটের অর্থনীতিবিদ কাজুতাকা মায়েদা বলেন, একাধিক নির্বাচনি পরাজয়ের পর ইশিবার পদত্যাগ অনিবার্য ছিল। তাকাইচি ও কোইজুমি এগিয়ে থাকা সম্ভাব্য প্রার্থী। এলডিপি বর্তমানে সংসদের কোনও কক্ষেই সংখ্যাগরিষ্ঠ নয়। ফলে দলের নতুন সভাপতি সরাসরি প্রধানমন্ত্রী হবেন, এমন নিশ্চয়তা নেই। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, নতুন নেতৃত্ব দ্রুত নির্বাচনের ডাক দিতে পারেন। ইশিবার শেষ বড় কাজ ছিল যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত করা।