আনাদোলু এজেন্সি: ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যুদ্ধের সম্পূর্ণ সমাপ্তির নিশ্চয়তা পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের বর্তমান শীর্ষ নেতা খলিল আল-হায়া। গত বৃহস্পতিবার রাতে এক ভিডিওবার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি। খলিল আল হায়াকে বলতে দেখা গেছে, “গাজায় যুদ্ধ সম্পূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। আমরা আমাদের ভাতৃপ্রতিম মধ্যস্থতাকারী এবং মার্কিন প্রশাসনের কাছ থেকে এই নিশ্চয়তা পেয়েছি।” হামাসের বর্তমান এই শীর্ষ নেতা আরও জানান, এখন থেকে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইসলামিক সংস্থা, দল ও গোষ্ঠীর সঙ্গে কাজ করবে হামাস।
প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন ও দপ্তর হোয়াইট হাউসে গাজায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত নতুন একটি পরিকল্পনার ব্যাপারে ঘোষণা দেন ট্রাম্প। এ সময় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু তার পাশে ছিলেন। সেদিন ট্রাম্প বলেছিলেন, গাজায় যুদ্ধের অবসান এবং স্থায়ী শান্তি স্থাপন সংক্রান্ত নতুন পরিকল্পনার কপি ইসরায়েল, হামাস এবং যুদ্ধের অপর দুই মধ্যস্থতাকারী দেশ মিসর ও কাতারের কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে এবং হামাস ব্যতীত বাকি সবাই তার পরিকল্পনায় সম্মতি দিয়েছে। পরে ৩ অক্টোবর শুক্রবার ট্রাম্পের প্রস্তাবে হামাস প্রাথমিক সম্মতি জানানোর পরের দিন ৪ অক্টোবর ইসরায়েলকে গাজায় বোমাবর্ষণ বন্ধ করতে বলেন ট্রাম্প। তার পর ৬ অক্টোবর মিসরের লোহিত সাগর তীরবর্তী পর্যটন শহর শারম আল শেখ- এ ট্রাম্পের প্রস্তাবের ওপর বৈঠক শুরু হয় ইসরায়েল, হামাস, মিসর, যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারের প্রতিনিধিদের মধ্যে। সেই বৈঠকে দুই দিনেরও বেশি সময় ধরে আলোচনা চলার পর ৮ অক্টোবর রাতে ট্রাম্পের পরিকল্পনার প্রাথমিক পর্যায় বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি সংক্রান্ত একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ইসরায়েল এবং হামাসের প্রতিনিধিরা। ৯ অক্টোবর নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা এক বার্তায় উভয় পক্ষের স্বাক্ষরের তথ্য নিশ্চিত করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
ট্রাম্প এই ঘোষণা দেওয়ার পর আজ শুক্রবার মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকেন প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। সে বৈঠকে ট্রাম্পের প্রস্তাব অনুমোন করে ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা। ইসরায়েলের সরকারের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ট্রাম্পের প্রস্তাবে মন্ত্রিসভা অনুমোদন দেওয়ায় আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে। তার পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মুক্তি দেওয়া হবে গাজায় আটক সব ইসরায়েলি জিম্মিকে।