ইন্টারনেট : ফিলিস্তিন প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ মুস্তাফাকে অধিকৃত পশ্চিম তীরের শহর ও গ্রাম পরিদর্শনের অনুমতি দেয়নি ইসরাইলী কর্তৃপক্ষ। এসব ফিলিস্তিন শহর ও গ্রাম বরাবরাই অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়ে আসছে।

বসতি ও দেয়াল প্রতিরোধ কমিশনের প্রধান মুআয়্যাদ শাবান বলেন, ইসরাইল রামাল্লাহর পূর্বে অবস্থিত বুরকা ও দেইর দিবওয়ান এবং নাবলুসের দক্ষিণে দোমা ও কুসরা গ্রামগুলোতে প্রধানমন্ত্রী মুস্তাফার সফরের জন্য প্রয়োজনীয় সমন্বয় করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এই এলাকাগুলোর সাধারণ মানুষ গত কয়েক মাস ধরে অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের সহিংস আক্রমণ ও ইসরাইলী সেনাবাহিনীর উপস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছেন।

শাবান জানান, ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ ও ইসরাইলের মধ্যে যে চুক্তি রয়েছে, তার আওতায় ফিলিস্তিনী উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের যে কোনো চলাচলের জন্য ইসরাইলের সঙ্গে সমন্বয় করা বাধ্যতামূলক। কারণ তাদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীও থাকে। কিন্তু এবার সেই সমন্বয় ইসরাইল প্রত্যাখ্যান করেছে। এটিকে ‘বিপজ্জনক নজির’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন শাবান। এদিকে এ সিদ্ধান্তের পেছনে রয়েছে মূলত অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের চাপে ইসরাইল সরকারের নতিস্বীকার।

জানা গেছে, তারা প্রধানমন্ত্রী মুস্তাফার বিরুদ্ধে উসকানিমূলক প্রচার চালিয়ে সফর বন্ধের দাবি তোলে এবং ইসরাইলী সরকার তাদের দাবি মেনেই ফিলিস্তিন প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের অনুমতি দেয়নি। ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ পশ্চিম তীরে প্রায় ৭ লাখ ৭০ হাজার অবৈধ ইসরাইলী বসতি স্থাপনকারী বসবাস করছে, যারা ১৮০টি বৈধ ঘোষণা করা বসতি এবং ২৫৬টি অননুমোদিত আউটপোস্টে বসবাস করেন। এর মধ্যে ১৩৮টি আবার কৃষি ও পশুপালননির্ভর বসতি।