রয়টার্স : পশ্চিমবঙ্গে কলকাতার আকাশে অজ্ঞাত ড্রোন উড়তে দেখা গেছে বলে দাবি করা হচ্ছে। গত সামবার রাত আটটা থেকে ১০টা পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন স্থানে প্রায় ডজনখানেক ড্রোনের উপস্থিতি চোখে পড়েছে বলে জানা গেছে। মধ্য ও দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুর, ময়দান, ইস্টার্ন কমান্ডের সদর দফতর, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, হেস্টিংস, রবীন্দ্র সদনের মতো নো ফ্লাই জোনে ড্রোনের উপস্থিতি দেখা গিয়েছিল। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, কলকাতা লাগোয়া মহেশতলা থেকে উড়ে এসেছিল ড্রোনগুলো। উড়ন্ত ড্রোনগুলো প্রথমে কলকাতা পুলিশের এক কর্মকর্তার নজরে পড়ে। এরপরই লালবাজার কন্ট্রোল রুমকে ড্রোনের বিষয়ে অবগত করা হয়।

এরপরই কলকাতা পুলিশের কয়েকটি থানাকে সতর্কবার্তা পাঠায় লালবাজার। নজরদারি শুরু হতেই ড্রোনগুলি পালিয়ে যায় বলে লালবাজার সূত্রে জানানো হয়। কলকাতার গুরুত্বপূর্ণ এই এলাকাগুলোয় ড্রোন ওড়াতে হলে আগে পুলিশের অনুমতি নিতে হয়। তবে সম্প্রতি পুলিশের পক্ষ থেকে ড্রোন ওড়ানোর কোনও অনুমতি দেওয়া হয়নি। ড্রোন পরিচালনাকারীদের পরিচয় জানতে তৎপর হয়ে উঠেছে পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অজ্ঞাত ড্রোনের বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন ইস্টার্ন কমান্ডের কর্মকর্তারা। তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কলকাতার আকাশে অজ্ঞাত ড্রোন দেখা গেছে বলে খবর এসেছে। বিষয়টি আমাদের তরফ থেকে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

উচ্চ তাপপ্রবাহের ঝুঁকিতে ভারতের ৬০ শতাংশ এলাকা : ভারতে সম্প্রতি রাত্রিকালীন তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা বৃদ্ধি নিয়ে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি দেখা দিয়েছে। দিল্লি ভিত্তিক চিন্তক সংস্থা কাউন্সিল অন এনার্জি, এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ওয়াটার (সিইইডব্লিউ) থেকে গত মঙ্গলবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, দেশটির প্রায় ৬০ শতাংশ এলাকায় বসবাসকারী তিন-চতুর্থাংশ মানুষ তীব্র তাপের কারণে উচ্চ থেকে অত্যন্ত উচ্চ ঝুঁকিতে আছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের প্রায় ৫৭ শতাংশ জেলার মানুষ তীব্র তাপের উচ্চ থেকে অতি উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। এই এলাকায় অত্যন্ত ৭৬ শতাংশ মানুষের বাস। তীব্র তাপের ঝুঁকিতে থাকা জেলার তালিকায় রাজধানী নয়াদিল্লির নাম সবার ওপরে রয়েছে।

এই প্রতিবেদন যখন প্রকাশিত হলো, তখন উত্তর ভারতের অধিকাংশ এলাকা তীব্র তাপদাহে পর্যদুস্ত। বিশ্লেষকরা বলছেন, মনুষ্যসৃষ্ট কারণে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে প্রতিবছর উষ্ণতার মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যার শিকার হচ্ছেন দক্ষিণ এশিয়ার কোটি কোটি মানুষ। গবেষণায় আরও দেখা গেছে, উত্তর ভারতের শুষ্ক অঞ্চলে ইদানীং আপেক্ষিক আর্দ্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে, তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে মানবদেহ থেকে ঘাম আকারে তাপ বেরিয়ে যাওয়ার প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ার গতি হ্রাস পাচ্ছে, যা স্বাস্থ্যঝুঁকি বৃদ্ধি পাওয়ার আরেকটি কারণ। গত বছরের ১ মার্চ থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত সময়ে পরিচালিত জরিপে দেখা গেছে, ভারতের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলীয় এবং পূর্বাঞ্চলীয় অংশে স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণ সংখ্যক দিনে তাপ প্রবাহ বয়ে গেছে। ওই সময় চল্লিশ হাজারের বেশি হিটস্ট্রোকে আক্রান্তের ঘটনা ঘটেছে বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রাণলয়ের আশঙ্কা। গত বছর তাপ দাহে ভারতে অন্তত ১১০ জন মানুষের মৃত্য নিশ্চিত করতে পেরেছে কর্তৃপক্ষ।