বোতলজাত পানির দাম বেশি সুইজারল্যান্ডে

দিন দিন সুপেয় পানি ব্যয়বহুল হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে খনিজ পানি। বোতলজাত এক লিটার খনিজ পানির গড় দাম ৪০ টাকা। সবচেয়ে বেশি দামে পানি বিক্রি হয় সুইজারল্যান্ডে। দেশটিতে এক লিটার বোতলজাত পানির জন্য গুনতে হয় অন্তত ৫৬০ টাকা। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এক লিটারে ১ হাজার ৫৯০ টাকাও দাম পড়ে। বেশ কিছু কারণে বোতলজাত পানি বিশ্বজুড়ে একটি জনপ্রিয় ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য হয়ে উঠেছে। কিন্তু অন্যান্য পানীয়র পাশাপাশি সুপেয় পানির দামও বেড়েই চলেছে। তবে বিভিন্ন দেশের ক্ষেত্রে পানির দামে বেশ তারতম্যও দেখা যায়।সবচেয়ে বেশি দামে বোতলজাত পানি বিক্রি হওয়া দেশগুলোর শীর্ষ পাঁচটিই ইউরোপের। সুইজারল্যান্ড ছাড়া অন্য চারটি দেশ হলো লুক্সেমবার্গ, ডেনমার্ক, জার্মানি ও নরওয়ে। এসব দেশে এক লিটার বোতলজাত পানির দাম যথাক্রমে ৪১৫, ৩৫৭, ৩৩০ ও ৩২৯ টাকা।বোতলজাত পানির দামের ক্ষেত্রে শীর্ষে ১০টি দেশের মধ্যে আরও রয়েছে অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস, অস্ট্রেলিয়া ও ইসরায়েল। এসব দেশে এক লিটার বোতলজাত পানির জন্য ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা গুনতে হয়। এর মধ্যে অস্ট্রিয়ায় ৩২৫ টাকা, বেলজিয়ামে ৩১৬, নেদারল্যান্ডসে ৩১২, অস্ট্রেলিয়ায় ২৭৪ ও ইসরায়েলে দাম পড়ে ২৬৯ টাকা। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ ১০০টি দেশে বোতলজাত পানির দাম বিশ্লেষণ করে বৈশ্বিক এই তালিকা তৈরি করেছে। তাতে দেখা গেছে, বোতলজাত পানির দামের ক্ষেত্রে তালিকার একেবারে শেষ দিকে রয়েছে বাংলাদেশ। সংস্থাটির দেওয়া হিসাবে, বাংলাদেশে এক লিটার পানির জন্য ২০ টাকা গুনতে হয়। বাংলাদেশের চেয়ে কম দামে পানি পাওয়া যায় শুধু মিসরে। দেশটিতে এক লিটার বোতলজাত পানির দাম গড়ে ১৫ টাকা। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ।

ইসরাইলী পর্যটকের কান ছিঁড়ে ফেললেন এক সিরীয়

গ্রিসে এক ইসরায়েলি পর্যটকের কান ছিঁড়ে ফেলেছেন এক সিরীয়। গ্রিসের একটি সমুদ্র সৈকতে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন দখলদার ইসরায়েলের নাগরিক স্টাভ বেন-সুসান।ওই সিরীয়কে নিয়ে বর্ণবৈষম্যমূলক কথা বলায় ইসরায়েলি পর্যটকককেই আটক করেছিল পুলিশ।গ্রিসের একটি হাসপাতাল থেকে ইসরায়েলি পর্যটক বলেছেন, তারা অ্যাথেন্সিয়ান রিভেরার বলিভার সৈকতে গিয়েছিলেন। ওই সময় অপর এক ইসরায়েলির দম্পতির সঙ্গে তিনি ও তার স্ত্রী কথা বলছিলেন। তখন এক ব্যক্তি তাদের ভিডিও করা শুরু করে এবং ‘ফ্রি ফিলিস্তিন, ইসরায়েল নিপাত যাক, আমি হামাস’ এমন স্লোগান দিতে থাকেন।এক পর্যায়ে ওই সিরীয় ব্যক্তি তাদের উপর বালু ছুড়ে মারলে তিনি তাকে ধাক্কা দেন। এরপর নিরাপত্তা কর্মীরা এসে তাদের ছাড়িয়ে ওই সিরীয়কে সৈকত থেকে সরিয়ে দেন।এই ইসরায়েলি দখলদার আরও বলেছেন, এর এক ঘণ্টা পর স্ত্রীকে নিয়ে একটি বাথরুম থেকে বের হন। তখন দেখতে পান ওেই সিরীয় তাদের কাছে আসছেন এবং তার স্ত্রীর ওপর হামলা চালাতে যাচ্ছিলেন। দখলদার দাবি করেছেন, হামলায় বাধা দিতে গেলে সিরীয় ব্যক্তি তার কানের একটি অংশ ছিঁড়ে ফেলে। টাইমস অব ইসরায়েল

পরিকল্পনার চেয়ে ৯গুণ বেশি ড্রোন তৈরি

স্যাটেলাইট ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে দ্রুত সম্প্রসারণের তথ্য প্রকাশের পর রাশিয়া গোপন ড্রোন কারখানার উপর আড়াল তুলে নিয়েছে। রুশ টিভিতে সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময় রাশিয়ার বৃহত্তম ড্রোন কারখানাগুলির মধ্যে একটির কর্মকর্তা তৈমুর শাগিভালিভকে সতর্ক করে বলা হয়, "আপনি জানেন, আপনি আমাদের যা বলবেন তা আপনার বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হবে। কারখানাটির বিস্তারিত আলোচনা থেকে বিরত থাকার পরিবর্তে, শাগিভালিভ একটি উদ্ধৃতি দিয়ে উত্তর দেন যা তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের একজন সোভিয়েত নায়ককে দায়ী করেছিলেন: "আপনার ভয় পাওয়ার অধিকার নেই।"রুশ ড্রোন তৈরির আলাবুগা কারখানায় দাঁড়িয়ে থাকা স্বতন্ত্র কালো, ত্রিভুজাকার ইরানি-নকশাকৃত আক্রমণাত্মক ড্রোনের (যা রাশিয়ান ভাষায় "জেরান" নামে পরিচিত) সারি সারি অবস্থান দেখে তার সাহসী বোধ করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা যাচ্ছে যে দক্ষিণ রাশিয়ার সাইটে নির্মাণ কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়েছে। এই বছর শীতের তুষার গলে যাওয়ার পর থেকে বিশেষজ্ঞরা নতুন ডরমিটরি এবং উৎপাদন সুবিধা সহ কয়েক ডজন নতুন ভবন দ্রুত রূপ নিচ্ছে।

এটি রাশিয়ার প্রধান আক্রমণাত্মক ড্রোন কারখানা বলে মনে করা হচ্ছে, যা ইউক্রেনীয় শহরগুলিতে ক্রেমলিনের ক্রমবর্ধমান ড্রোন আক্রমণের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই প্রচেষ্টাকে আরও জোরদার করার জন্য, এখন এমন প্রমাণও পাওয়া গেছে যে সাইটটি কিশোর-কিশোরীদের কেবল আলাবুগায় ড্রোন সমাবেশের জন্যই নয়, নির্মাণ কাজেও নিয়োগ করছে। সিএনএন