ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দেড় বছরের বেশি সময় ধরে গণহত্যা চালিয়ে আসছে দখলদার ইসরাইল। গাজায় এ সময়ে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নিরীহ বেসামরিক মানুষ, নারী ও শিশু। তবে দখলদাররা দাবি করে থাকে তারা হামাস ও ইসলামিক জিহাদের সশস্ত্র যোদ্ধাদের লক্ষ্য করে হামলা চালায়। আল জাজিরা।
ইসরাইলের এ মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে ভয়াবহ তথ্য জানিয়েছে জাতিসংঘ। তারা বলেছে, দখলদাররা গত ১৮ মার্চ থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত গাজায় ২২৪ বার আবাসিক ভবন ও অস্থায়ী মানুষের তাঁবু লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। এরমধ্যে ৩৬টি হামলায় শুধুমাত্র নারী ও শিশু নিহত হয়েছেন। সেসব হামলায় কোনো সশস্ত্র যোদ্ধা তো নয়ই, কোনো পুরুষও নিহত হননি। আর এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মানবাধিকার অফিস।
ইসরাইলী হামলায় গাজায় লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছেন। যারা এখন অস্থায়ী তাঁবুতে বসবাস করছেন। এই তাঁবুগুলোতে পর্যন্ত হামলা চালাচ্ছে দখলদার সেনারা।
গত জানুয়ারিতে স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়। যা প্রায় ৫০ দিন পর্যন্ত বিদ্যমান ছিল। কিন্তু দখলদাররা চুক্তি লঙ্ঘন করে পবিত্র রমযান মাসের শুরুর দিকে আবারও গণহত্যা চালানো শুরু করে। ওই সময় একদিনের হামলায় গাজায় প্রায় ৪০০ মানুষ নিহত হয়েছিলেন। যা এখনো অব্যাহত আছে। গত দেড় মাসের বেশি সময় ধরে গাজায় কোনো ত্রাণ পৌঁছাতে দেয়নি দখলদাররা। এ কারণে উপত্যকাটিতে দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।