ভারতের আসাম রাজ্যে বাংলাভাষী মুসলিমদের লক্ষ্য করে পরিচালিত উচ্ছেদ অভিযানকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে, যেখানে আদালত ইতিমধ্যেই সরকারকে নোটিশ জারি করেছেন। গত আগস্টে শীর্ষ আদালত এই উচ্ছেদ অভিযান স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছিল। তবে ইতিমধ্যেই যারা বাস্তুচ্যুত হয়েছেন, তারা সুবিচারের দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।
আবেদনকারীদের অভিযোগ, আসাম-নাগাল্যান্ড সীমান্তবর্তী এলাকায় সাম্প্রতিক উচ্ছেদ অভিযানে বিশেষভাবে বাংলাভাষী মুসলিমদের লক্ষ্য করা হয়েছে। এই অভিযানের ধারাবাহিকতায় ৫০,০০০ এর বেশি মানুষকে তাদের বসতভূমি থেকে সরানো হয়েছে।
তারা জানিয়েছেন, “তাড়াহুড়ো করে” তাদের উচ্ছেদ করা হয়েছে এবং কোনো আশ্রয় বা পুনর্বাসনের ব্যবস্থা ছাড়াই তারা ছাড়া হয়েছে। অভিযোগ, একই জমিতে অন্যরা বাস করলেও শুধু একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের মানুষদেরই লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।
সরকারের নোটিশে বলা হয়েছিল, রেংমা রিজার্ভ ফরেস্টের জমিতে তাদের দখল বনাঞ্চলের ক্ষতি করেছে। কিন্তু বাস্তুচ্যুতরা দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় বসবাস করছিলেন। আবেদনকারীরা উল্লেখ করেছেন, উচ্ছেদ নোটিশের পর গুজব ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার কারণে অনেকেই নিজে থেকেই এলাকা ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন, এমনকি যেসব বাড়ি এখনও ভাঙা হয়নি, সেগুলোও ত্যাগ করতে হয়েছে।
অভিযোগ করা হয়েছে, রাজ্য সরকার খালি করা জায়গাগুলোকে পুনরায় জনবহুল করে তুলেছে, যাতে প্রতিবেশী বসতি স্থাপনকারীরা আবেদনেরদের আগের বাসস্থান দখল করতে পারেন।