রয়টার্স, এপি : বছরের শেষ নাগাদ হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীকে পুরো নিরস্ত্র করতে লেবাননের কাছে একটি প্রস্তাব পেশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রস্তাবে আরও রয়েছে, দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে পাঁচটি অবস্থান থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারসহ লেবাননে তাদের সম্পূর্ণ সামরিক কার্যক্রমের অবসান ঘটানো। প্রস্তাবটি উত্থাপন করেছে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ প্রতিনিধি টম ব্যারাক। এতে ইরান সমর্থিত গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর নিরস্ত্রীকরণে ধাপে ধাপে পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার লেবানিজ ক্যাবিনেটে খসড়াটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বৈঠকের পর লেবানিজ তথ্যমন্ত্রী পল মোরকোস বলেছেন, প্রাথমিকভাবে তারা কেবল প্রস্তাবের উদ্দেশ্য অনুমোদন করেছেন। খুঁটিনাটি অনেককিছু নিয়ে আলোচনা এখনও বাকি আছে। ২০২৩ সালে গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গোষ্ঠীটি সীমান্তে ইসরায়েলি অবস্থানে হামলা চালিয়ে ফিলিস্তিনি মিত্র হামাসের প্রতি সমর্থন ঘোষণা করে, যা গাজা যুদ্ধে নতুন মাত্রা যোগ করে। এরপর গত বছর পালটা ইসরায়েলি বিমান হামলায় দলটির শীর্ষ নেতৃত্বে ধস নামে। গত নভেম্বরে ইসরায়েলের সঙ্গে দলটির একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও উত্তেজনা বিরাজমান ছিল। এরপর থেকে একাধিকবার হিজবুল্লাহর নিরস্ত্রীকরণের আহ্বান জানানো হলেও তারা সে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে এসেছে।
মার্কিন প্রস্তাবের লক্ষ্য লেবানন-ইসরায়েলের মধ্যে গত নভেম্বরে হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে 'বর্ধিত ও স্থিতিশীল' করা। নথিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের বিমান হামলা ও সীমান্ত অতিক্রমী অভিযানের মতো যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ বাড়ায় এই প্রস্তাব জরুরি হয়ে পড়েছে, যা নাজুক পরিস্থিতি ভেঙে দেওয়ার ঝুঁকি তৈরি করছে। মার্কিন প্রস্তাবের প্রধান উদ্দেশ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে হিজবুল্লাহসহ অন্যান্য সশশ্ত্র অ-রাষ্ট্রীয় কর্মকের (নন স্টেট অ্যাক্টর) উপস্থিতি নির্মূল করা, লেবাননের পাঁচটি অবস্থান থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার, গুরুত্বপূর্ণ সীমানা ও অভ্যন্তরীণ অঞ্চলে লেবানিজ বাহিনী মোতায়েন, পরোক্ষ আলোচনার (ইনডিরেক্ট টকস) মাধ্যমে বন্দিবিনিময় সংকটের সমাধান এবং ইসরায়েল ও সিরিয়ার সঙ্গে লেবাননের সীমান্ত সংকটের চূড়ান্ত সমাধান করা। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেছেন, দেশে থাকা সব অস্ত্র সেনাবাহিনীর মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে লেবানন। তাদের উদ্যোগকে যুক্তরাষ্ট্র স্বাগত জানায়।