ক্যালিফোর্নিয়া মিউজিয়াম থেকে হাজারের বেশি ঐতিহাসিক নিদর্শন চুরি
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার ওকল্যান্ড মিউজিয়াম অব ক্যালিফোর্নিয়ার একটি অফ-সাইট স্টোরেজ সুবিধা থেকে এক হাজারের বেশি আইটেম চুরি হয়েছে। এতে অলঙ্কার, নেটিভ আমেরিকান বাস্কেট এবং ক্রীড়া ট্রফিসহ বিভিন্ন ঐতিহাসিক ও দৈনন্দিন জিনিসপত্র অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ওকল্যান্ড পুলিশ জানিয়েছে, চুরির ঘটনা ঘটেছে ১৫ অক্টোবর স্থানীয় সময় ভোরে। মিউজিয়ামের পরিচালক লরি ফোগার্টি জানিয়েছেন, তদন্তের বিষয়টি সাধারণ মানুষের কাছে প্রকাশ করা হয়েছে। কারণ এই চুরিকৃত জিনিসপত্র হয়তো ফ্রি মার্কেট, অ্যান্টিক দোকানগুলোতে দেখা যেতে পারে। ফোগার্টি বলেন, “এগুলো শুধু মিউজিয়ামের জন্য ক্ষতি নয়, এটি আমাদের সমাজ ও কমিউনিটির জন্যও ক্ষতি। আমরা আশা করি কমিউনিটি আমাদের এগুলো ফেরত আনতে সাহায্য করবে।”
তিনি আরও জানিয়েছেন, চোরেরা সম্ভবত সহজলভ্য জিনিসগুলো নিয়েছে এবং দ্রুত তা নিয়ে চলে গেছে। চুরিকৃত আইটেমের মধ্যে রয়েছে শিল্পী ফ্লোরেন্স রেসনিকফের নেকপিস, এক জোড়া খোদাই করা হাতির দাঁত এবং নেটিভ আমেরিকানদের তৈরি ঝুড়ি। ওকল্যান্ড মিউজিয়ামের উদ্দেশ্য হলো ক্যালিফোর্নিয়ার শিল্প, ইতিহাস ও প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণ করা। তাদের সংগ্রহের মধ্যে রয়েছে ১৮শ’ শতকের শেষ থেকে বর্তমান পর্যন্ত ক্যালিফোর্নিয়ার শিল্পীদের কাজ, প্রত্নতাত্ত্বিক জিনিসপত্র, ফটোগ্রাফ, প্রাকৃতিক নমুনা এবং সাউন্ড রেকর্ডিং। পুলিশ জানিয়েছে, তারা এফবিআই-এর একটি বিশেষ ইউনিটের সঙ্গে কাজ করছে, যা শিল্পকলা চুরি, জালিয়াতি এবং প্রাচীন/সাংস্কৃতিক সম্পদ চুরি ও পাচারের বিষয় দেখাশোনা করে। এপি, ওয়াশিংটন পোস্ট, সিএনএন
হোয়াইট হাউসে সাংবাদিক প্রবেশে নতুন বিধিনিষেধ
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ‘সংবেদনশীল তথ্য ’ রক্ষা করার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে শুক্রবার সাংবাদিকদের অনুমতি ছাড়া হোয়াইট হাউস প্রেস অফিসের কিছু অংশে প্রবেশ সীমিত করেছে। সাংবাদিকদের এখন পূর্বানুমতি না থাকলে ‘আপার প্রেস’ নামে পরিচিত এলাকায় প্রবেশ করতে পারবেন না। যেখানে প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিটের কার্যালয় এবং ওভাল অফিসের কাছে অবস্থিত। সাংবাদিকরা এর আগে এই এলাকায় অবাধে প্রবেশ করতে পারতেন। সাংবাদিকরা প্রায়শই তথ্য জানতে লিভিট বা সিনিয়র প্রেস কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পেতেন। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মিডিয়া এখনও হোয়াইট হাউস ব্রিফিং রুমের পাশে ‘লোয়ার প্রেস’ নামে পরিচিত এলাকায় প্রবেশের অনুমতি রয়েছে। যেখানে আরও জুনিয়র প্রেস কর্মকর্তারা কাজ করেন। ট্রাম্প প্রশাসন সাংবাদিকদের ওপর ব্যাপক বিধিনিষেধ আরোপের মধ্যে এই নীতিমালাটি এলো। যার মধ্যে রয়েছে পেন্টাগনের নতুন নিয়ম যা এএফপিসহ প্রধান সংবাদমাধ্যমগুলো এই মাসের শুরুতে স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। হোয়াইট হাউসে এই পরিবর্তনটি জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ কর্তৃক ‘আপার প্রেসে অননুমোদিত প্রকাশ থেকে সংবেদনশীল তথ্য রক্ষা করা’ শীর্ষক একটি স্মারকলিপিতে ঘোষণা করা হয়েছে। লিভিট এবং হোয়াইট হাউসের যোগাযোগ পরিচালক স্টিভেন চুংকে পাঠানো এই চিঠিতে প্রেস পাসধারীদের ‘আপার প্রেস’-এ অনুমতি ছাড়া প্রবেশ নিষিদ্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এএফপি
সতর্ক অবস্থানে প্রতিবেশী দ্বীপরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী
যুক্তরাষ্ট্র ও ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে উত্তেজনা এবং ক্যারিবীয় অঞ্চলে মার্কিন সামরিক তৎপরতা বাড়তে থাকায় ত্রিনিদাদ এন্ড টোবাগো তাদের সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রেখেছে। গত শুক্রবার সব সদস্যকে তাৎক্ষণিকভাবে ঘাঁটিতে ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।সেনাবাহিনীর পাঠানো এক বার্তায় বলা হয়েছে, বাহিনীকে ‘স্টেট ওয়ান অ্যালার্ট লেভেল’-এ রাখা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব ছুটি বাতিল করা হলো। ভেনেজুয়েলার উপকূলের কাছেই অবস্থিত দ্বীপ রাষ্ট্র ত্রিনিদাদ এন্ড টোবাগো। যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি ক্যারিবীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরে অন্তত ১৫টি সন্দেহভাজন মাদকবাহী নৌকায় বিমান হামলা চালায়। এতে ৬২ জন নিহত হয়। ঘটনাস্থলে থাকা এএফপি সাংবাদিকরা জানান, এই ঘটনার পর পোর্ট অব স্পেইনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা খাবার ও জ্বালানি কিনতে দোকানে ভিড় করেন। সরকার জনগণকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ত্রিনিদাদ এন্ড টোবাগো সরকার দেশটির রাজধানী পোর্ট অব স্পেইনে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের সঙ্গে সক্রিয় যোগাযোগ রাখছে।’
মাদক পাচার দমনের নামে যুক্তরাষ্ট্র বিশাল সামরিক বাহিনী মোতায়েন করেছে। আটটি মার্কিন নৌবাহিনীর জাহাজ ক্যারিবীয় অঞ্চলে পাঠানো হয়েছে। পুয়ের্তো রিকোয় মোতায়েন করা হয়েছে এফ-৩৫ স্টেলথ যুদ্ধবিমান। একটি বিমানবাহী রণতরী বহরও পথে রয়েছে। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে মাদক চোরাচালান মামলায় অভিযুক্ত ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো অভিযোগ করেছেন, ওয়াশিংটন মাদকবিরোধী অভিযানকে অজুহাত বানিয়ে কারাকাসে সরকার পরিবর্তনের চেষ্টা করছে। তাদের লক্ষ্য ভেনেজুয়েলার তেল দখল করা।
তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার বলেছেন, ভেনেজুয়েলায় হামলার কোনো পরিকল্পনা তার নেই। এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘না, এমনকিছু বিবেচনায় নেই।’ যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও একই বার্তা দিয়েছেন। তিনি মায়ামি হেরাল্ডে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে আখ্যা দেন। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলায় হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এএফপি