আরটি : রাশিয়ার গুপ্তচরদের চেনার উপায় বাতলে দিয়েছে লাতভিয়ার একটি গোয়েন্দা সংস্থা। রুশ গুপ্তচর ও নাশকতাকারীদের চিহ্নিত করতে একটি নির্দেশিকা ম্যানুয়াল প্রকাশ করেছে তারা। গত বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে রুশ সম্প্রচার মাধ্যমটি জানিয়েছে, গত বুধবার লাতভিয়া ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড সিকিউরিটি সার্ভিস (এমআইডিডি) জনসাধারণের জন্য একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়, রুশ গুপ্তচর ও নাশকতাকারীরা অগোছালো এবং স্বাস্থ্যবিধি মানে না। এমনকি তাদের চেহারাও থাকবে রোগাসোগা। এছাড়া তারা পর্যটক হিসেবে নিজেদের পরিচয় দেবে। তারা বেশিরভাগ সময় ক্রীড়া কিংবা প্যারামিলিটারির পোশাক পরিধান করে থাকে। তারা থাকে সুঠম দেহের অধিকারী এবং চুল থাকে খুবই ছোট ছোট।

উল্লেখিত ইঙ্গিতগুলো দ্বারা রুশ গুপ্তচর ও নাশকতাকারীদের শনাক্ত করা যায় বলে ওই নির্দেশিকায় বলা হয়। তবে যে কোনো একটি বা দুটি ইঙ্গিত দিয়ে তাদের শনাক্ত কষ্টদায়ক বলা হয়। নির্দেশিকায় রুশ গুপ্তচর সন্দেহে কাউকে প্রতিরোধ না করতে জনগণকে সতর্ক করা হয়।

এমআইডিডি থেকে প্রকাশিত নির্দেশিকায় বলা হয়, রুশ গুপ্তচরদের কাছে ম্যাপ, রেডিও, নেভিগেশন সরঞ্জাম, অস্ত্র ও খাবার থাকতে পারে। তারা অনুপ্রবেশ করে জলাশয়, বন বা পরিত্যক্ত ভবনে অবস্থান করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। অপরিচিত কাউকে দেখলেও তার ওপর নজর রাখার জন্য লাতভিয়ানদের নির্দেশ দিয়েছে এমআইডিডি। সংস্থাটি বলছে, রুশ গুপ্তচররা নিজেদের পর্যটক বা ব্যবসার কাছে লাতভিয়ায় আসার কথা বলতে পারে। স্বজন বা বন্ধুর সঙ্গে দেখার জন্য এসেছে, এমনটাও বলতে পারে। সতর্ক করে এমআইডিডি বলছে, নাশকতাকারীরা তিন অথবা চারজনের গ্রুপ হয়ে থাকে। অনেকটা সামরিক স্টাইলে। গ্রুপে থাকা কোনো একজন স্থানীয় ভাষা ও সংস্কৃতির সম্পর্কে ভালো জ্ঞান রাখে।

আরটি বলছে, ২০২২ সালে ইউক্রেন ও রাশিয়ার সংঘর্ষের পর থেকে লাতভিয়ার সঙ্গে ক্রেমলিনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হতে থাকে। দেশটিতে অবস্থান করা রুশ সংখ্যালঘুর সঙ্গে লাতভিয়ার সরকার জুলুম করছে বলে অভিযোগ মস্কোর। লাতভিয়া সরকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশটিতে ১৮ লাখ সংখ্যালঘু রাশিয়ান বসবাস করে।