চীনা কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিসি)-র ২০তম কেন্দ্রীয় কমিটির চতুর্থ পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন আগামী অক্টোবরে অনুষ্ঠিত হবে। সিপিসি’র কেন্দ্রীয় কমিটির পলিট ব্যুরো ৩০ জুলাই (বুধবার) এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়।
সিদ্ধান্ত অনুসারে, অক্টোবরের অধিবেশনের প্রধান কর্মসূচী হবে: সিপিসি-র পলিট ব্যুরোর কেন্দ্রীয় কমিশনের কাছে কর্মপ্রতিবেদন দাখিল করা এবং দেশের অর্থনীতি ও সমাজ উন্নয়নের ১৫তম পাঁচসালা পরিকল্পনা প্রণয়নের প্রস্তাব পর্যালোচনা করা।
এদিকে বুধবারের অধিবেশনে বর্তমানের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয় একং বছরের দ্বিতীয়ার্ধের অর্থনৈতিক কাজ বিন্যাস করা হয়েছে। সিপিসি-র কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সি চিন পিং অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
অধিবেশনে বলা হয়েছে, ১৫তম পাঁচসালা পরিকল্পনার সময়পর্ব হবে মোটামুটি সমাজতন্ত্রের আধুনিকায়ন বাস্তবায়নের জন্য ভিত্তি স্থাপনের গুরুত্বপূর্ণ সময়পর্ব। এমন সময় চীনের উন্নয়নের পরিবেশ জটিল পরিবর্তন, ঝুকি ও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। তবে, চীনের অর্থনীতির দৃঢ় ভিত্তি, দীর্ঘস্থায়ী সুষ্ঠু উন্নয়নের মৌলিক প্রবণতার পরিবর্তন হয়নি। চীনের উচিত, সব শক্তি দিয়ে ভালোভাবে নিজের কাজ করা, তুমুল আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় কৌশলগত সক্রিয়তা অর্জন করা।
অধিবেশনে জোর দিয়ে বলা হয়, বছরের দ্বিতীয়ার্ধের অর্থনৈতিক কাজ করতে, সি চিন পিংয়ের নতুন যুগের চীনের বৈশিষ্ট্যময় সমাজতন্ত্রের চিন্তাধারাকে অনুসরণ করতে হবে; দ্রুততার সাথে উন্নয়নের নতুন কাঠামো গঠন করতে হবে; নীতিগত স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হবে; শিল্পপ্রতিষ্ঠান, বাজার ও সংশ্লিষ্ট আকাঙ্খাকে স্থিতিশীল করতে হবে; শক্তিশালীভাবে দেশ-বিদেশের দ্বৈত চক্র ত্বরান্বিত করতে হবে; পুরো বছরের অর্থনীতি ও সমাজ উন্নয়নের লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে হবে।
অধিবেশনে বলা হয়, কার্যকরভাবে অভ্যন্তরীণ চাহিদা চাঙ্গা করতে হবে; পণ্যের ভোগ বাড়ানোর পাশাপাশি, পরিষেবা ভোগের বৃদ্ধি ঘটাতে হবে; জীবিকা নিশ্চিত করার পাশাপাশি, ভোগের চাহিদা বাড়াতে হবে।
অধিবেশনে আরও বলা হয়ে, দৃঢ়ভাবে সংস্কার সম্প্রসারণ করতে হবে; বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবন দিয়ে নতুন মানের উত্পাদনশীলতার নেতৃত্ব দিতে হবে; উচ্চমানের উন্মুক্তকরণ বাড়াতে হবে; বৈদেশিক বাণিজ্যের মূল অবস্থা স্থিতিশীল করতে হবে; উচ্চমানে অবাধ বাণিজ্য এলাকার নির্মাণকে জোরদার করতে হবে; জীবিকার নিশ্চয়তা কাজ জোরদার করতে হবে; উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্নাতক শিক্ষার্থী, অবসরপ্রাপ্ত সেনা ও কৃষক শ্রমিকের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে হবে; এবং খাদ্য ও গুরুত্বপূর্ণ কৃষিজাতপণ্যের দাম যুক্তিযুক্ত পর্যায়ে বজায় রাখতে হবে।
সূত্র: সিজিটিএন।