টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়া: পারমাণবিক অস্ত্রধর দেশ পাকিস্তান ও সৌদি আরবের মধ্যে প্রতিরক্ষা চুক্তি হয়েছে। গত বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ এবং সৌদির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান চুক্তিতে সই করেন। এতে বলা হয়েছে, ‘তাদের দুই কোনো একটির ওপর আক্রমণকে উভয়ের ওপর আক্রমণ হিসেবে গণ্য করা হবে।’ পাকিস্তানের সঙ্গে এ চুক্তির পর সৌদিকে ভারত আহ্বান জানিয়েছে, ভারত ও সৌদির মধ্যে যে ‘পারস্পরিক স্বার্থ এবং সংবেদনশীলতা’-র বিষয়টি রয়েছে সেটি সৌদি বিবেচনায় রাখবে। আজ শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জসওয়াল বলেন, “ভারত ও সৌদি আরবের মধ্যে একটি বিস্তৃত কৌশলগত অংশীদারত্ব রয়েছে, যা গত কয়েক বছরে উল্লেখযোগ্যভাবে গভীর হয়েছে। আমরা আশা করি, আমাদের কৌশলগত অংশীদার সৌদি আরব পারস্পরিক স্বার্থ এবং সংবেদনশীলতার বিষয়গুলো মাথায় রাখবে।” পাকিস্তান ও সৌদির মধ্যে ঐতিহাসিক এ চুক্তি সময় প্রধানমন্ত্রী শেহাবাজ শরীফের সঙ্গে উপস্থিথ ছিলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল অসীম মুনির এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ। এদিকে পাকিস্তান ও সৌদি আরবের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নতুন এই প্রতিরক্ষা চুক্তি “নিজেদের নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য দুই দেশের অভিন্ন অঙ্গীকারের প্রতিফলন। এর লক্ষ্য হলো দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতার বিভিন্ন দিক বিকশিত করা এবং যেকোনো আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সম্মিলিত প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করা।” পাকিস্তান সৌদি আরবের দীর্ঘদিনের মিত্র। সৌদিকে সামরিক ক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে সহায়তা দেয় ইসলামাবাদ। এখন দুই দেশের এ সম্পর্ক অন্য মাত্রায় পৌঁছেছে।