ধসে পড়ল স্কুলের ছাদ
ভারতের রাজস্থানের ঝালাওয়ারে একটি সরকারি স্কুলের ছাদ ধসে পড়েছে। এতে ৭ শিশু নিহত হয়েছে। এছাড়া ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও বহু শিশু আটকে পড়েছে, যার ফলে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার ঝালাওয়ার জেলার মনোহর থানা এলাকার পিপলোদির সরকারি উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাদ হঠাৎ ভেঙে পড়ে। ক্লাসে সেই সময় পাঠদান চলছিল। ছাদের নিচে বহু শিক্ষার্থী চাপা পড়ে যায়। ক্লাসের ভেতরে প্রায় ৬০ জন শিশু ছিল। এর মধ্যে প্রায় ২৫ জনের চাপা পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া শিশুদের উদ্ধারের চেষ্টা শুরু করেন স্থানীয়রা। খবর যায় পুলিশ ও উদ্ধারকারীদের কাছে। ঝালাওয়ারের পুলিশ কর্মকর্তা অমিত কুমার জানিয়েছেন, এই ঘটনায় ৭ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ১৭ জন। দশজন শিশুকে ঝালাওয়ারে রেফার করা হয়েছে। এর মধ্যে তিন থেকে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এনডিটিভি
ফার্স্টলেডির বাসভবনে অভিযান
দুর্নীতির অভিযোগে দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়োলের স্ত্রী এবং দেশটির প্রাক্তন ফার্স্টলেডি কিম কিও হি’র বাসভবনে অভিযান চালিয়েছে দেশটির দুর্নীতি দমন সংস্থা। শুক্রবার স্থানীয় সময় সকালে রাজধানী সিউলে তার বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছে। দুর্নীতি দমন সংস্থার বিশেষ উপদেষ্টা মিন জুং কি-এর নেতৃত্ব সাবেক ফার্স্টলেডির ব্যক্তিগত বাসভবন এবং ব্যবসায়িক সংস্থা কোভানা কন্টেন্টস-এর দপ্তরে অভিযান চালিয়েছে সংস্থার একটি টিম। কিম কিও হি কোভানা কন্টেন্টেসের মালিক এবং একসময় শীর্ষ নির্বাহী ছিলেন। গত ৪ এপ্রিল সর্বোচ্চ আদালত ইউন সুক ইয়োলকে পদচ্যুত ঘোষণা করার আগ পর্যন্ত কোভানা কন্টেন্টসের শীর্ষ নির্বাহী পদে ছিলেন কিম কিও হি। ইয়োনহাপ নিউজ।
তোমরা খুনি
গাজায় গণহত্যা সমর্থনকারী ৮ ইহুদি পর্যটককে সম্প্রতি স্পেনের এক ছোট্ট রেস্তোরাঁ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি বিশ্বজুড়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে এবং নানা মহলে প্রশংসাও কুড়িয়েছে। গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধাবস্থার প্রেক্ষাপটে ইউরোপজুড়ে জনমতের প্রতিক্রিয়ার অংশ হিসেবে স্পেনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের শহর ভিগোর 'মিমাসা' নামক একটি রেস্তোরাঁ হঠাৎ করেই আন্তর্জাতিক মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। ঘটনার সূত্রপাত একটি ভিডিও দিয়ে, যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যায়, রেস্তোরাঁর মালিক ৮ জন ইসরায়েলি পর্যটককে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিচ্ছেন যে, তিনি তাদের সেবা দিতে আগ্রহী নন। তিনি গাজার চলমান পরিস্থিতি নিয়ে কঠোর প্রতিক্রিয়াও জানান।
“তোমরা ফিলিস্তিনিদের হত্যা করছ, যাও গাজায় গিয়ে খাও!” “তোমরা মানুষ হত্যা করো, তারপর বেড়াতে চলে আসো! এখান থেকে বেরিয়ে যাও!” পাশাপাশি, ভিডিওর পেছনে ‘ফিলিস্তিন মুক্ত হোক!’ ও ‘ইহুদিবাদ নিপাত যাক!’- স্লোগানও শোনা যায়। এই ঘটনার পর ইসরায়েলপন্থী কিছু অনলাইন গ্রুপ রেস্তোরাঁটির বিরুদ্ধে ক্যাম্পেইন চালায়, তা বয়কটের ডাক দেয়। কিন্তু এর বিপরীতে, বহু স্থানীয় মানুষ এবং এমনকি বিদেশি পর্যটকেরাও রেস্তোরাঁটির এই মানবিক ও সাহসী অবস্থানের প্রশংসা করে সেখানে ভিড় জমাতে শুরু করেন। কয়েক দিনের মধ্যেই রেস্তোরাঁটির ক্রেতার সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে যায়। অনেকেই জানান, তারা একমাত্র এই প্রতিবাদী মনোভাবের প্রতি সংহতি জানাতেই সেখানে এসেছেন। রেস্তোরাঁর মালিক পরে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে একটি বার্তা দিয়ে এই অভাবনীয় সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
যদিও ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ও কিছু অনলাইন ইহুদিগোষ্ঠী এই ঘটনার সমালোচনা করেছে, তবু এটি ইউরোপজুড়ে ক্রমবর্ধমান সেই আন্দোলনের প্রতিফলন, যেখানে মানুষ ফিলিস্তিনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। সম্প্রতি ইউরোপের বহু দেশে ইসরায়েলসংশ্লিষ্ট কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বয়কটের ডাক জোরালো হয়েছে, যারা কোনোভাবে তেল আবিবের দখলদার নীতিকে সমর্থন বা সহযোগিতা করছে। স্পেন সরকার এখনো এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে বিশ্লেষকদের মতে, এই ঘটনা ইউরোপের জনমনে একটি পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয় একটি পরিবর্তন, যা এখন কেবল রাজপথেই নয় বরং রেস্তোরাঁ, দোকানপাট এমনকি পর্যটন ক্ষেত্রেও প্রবেশ করেছে। এই ঘটনা প্রমাণ করে যে, যুদ্ধ ও নিপীড়নের মাঝেও ছোট ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো হয়ে উঠতে পারে বৈশ্বিক ন্যায়বোধ ও সংহতির কণ্ঠস্বর। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম।