হারেৎজ : ফিলিস্তিনী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ও পণবন্দী চুক্তি করতে দখলদার ইসরাইলকে ব্যাপক চাপ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। ট্রাম্প কয়েকদিন পর মধ্যপ্রাচ্য সফরে আসবেন। এর আগেই যুক্তরাষ্ট্র চায় গাজায় হামাস-ইসরাইলের যুদ্ধ বন্ধ হোক।

ইসরাইলী সংবাদমাধ্যম গতকাল শুক্রবার গোপন একটি সূত্রের বরাতে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলকে হুমকি দিয়েছে যদি তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী হামাসের সঙ্গে তারা যুদ্ধবিরতি ও পণবন্দী চুক্তি না করে তাহলে ‘ইসরাইলকে একা ছেড়ে’ দেওয়া হবে। এরআগে ইসরাইলী সংবাদমাধ্যম চ্যানেল-১২ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, পণবন্দীদের পরিবারের সঙ্গে বৈঠকের সময় এক মার্কিন কর্মকর্তা ইসরাইলের সমালোচনা করেছেন।

হারেৎজ জানিয়েছে, ওই মার্কিন কর্মকর্তাটি হলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকোফ। তিনি জিম্মিদের পরিবারকে বলেন, “যদি যুদ্ধ বন্ধ না হওয়ার জন্য জিম্মিদের মূল্য দিতে হয়, তাহলে এখন ইসরাইলের জন্য এই মূল্য আরও বেশি হবে। এটি শুধুমাত্র জিম্মিদের ক্ষেত্রে নয়।” উইটকোফ আরও জানান, সৌদি আরবের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ার সুযোগ হাতছাড়া করেছে ইসরাইল। কারণ এখন যুক্তরাষ্ট্র সৌদির সঙ্গে যে পারমাণবিক চুক্তি করতে চাচ্ছে, সেটিতে ইসরাইলের সঙ্গে সৌদির কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের শর্ত আর দিচ্ছে না ট্রাম্প প্রশাসন। উইটকোফ বলেন, “যদি ইসরাইল তার সজ্ঞানে না ফেরে তাহলে সুযোগ হাতছাড়া করার মূল্য আরও বেশি হবে।”

বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকারের সমালোচনা করে স্টিভ উইটকোফ যে বক্তব্য দিয়েছেন সিটি তিনিই সংবাদমাধ্যমে ফাঁস করার জন্য বলেছেন। তবে উইটকোফের দপ্তর হারেৎজের এ প্রতিবেদনের সত্যতা অস্বীকার করেছে। তারা বলেছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি করার জন্য ইসরাইলকে কোনো চাপ তিনি দিচ্ছেন না।