সম্প্রতি ইরানের ওপর চালানো ইসরায়েলের ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’-এর এক গোপন অংশগ্রহণকারী পাইলট বলেছেন, তেহরান আকাশ থেকে এতটাই মনোমুগ্ধকর মনে হয়েছে যে একদিন ঘুরে দেখতে চান শহরটি। যদিও তিনি ছিলেন সেই বিমান বহরের অংশ, যারা ইরানের পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনাগুলো লক্ষ্য করে হামলা চালায়।

নিরাপত্তাজনিত কারণে পরিচয় গোপন রাখা ওই পাইলটের ভাষ্যে উঠে এসেছে ভিন্ন এক অভিজ্ঞতা। দীর্ঘদিনের প্রস্তুতির পর এই অপারেশনে অংশ নিতে হয় তাকে। জানালেন, হামলার আগের রাতেই একটি রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছিলেন। সেখানেই আসে বার্তা—“আগামীকাল ভোরে স্কোয়াড্রনে রিপোর্ট করুন”।

ভোরে সন্তানদের বিদায় জানাতে গিয়ে স্ত্রী শুধু বলেছিলেন, “যা করতেই হয় করো, আমরা পাশে আছি।” সেই মুহূর্তটিকে পাইলট ব্যাখ্যা করেছেন “অক্সিজেনের মতো” বলে।

পাইলট জানান, হামলার সময় তেহরানের আকাশ থেকে দৃশ্য ছিল শান্ত, নির্জন ও অপূর্ব। পাহাড়ঘেরা রাজধানী শহরটি তাকে আবিষ্ট করে ফেলে। বলেন, “এতটা কাছে থেকে কখনও দেখিনি তেহরানকে, শহরটি সত্যিই চমৎকার।”

এই গোপন অভিযানে অংশ নিতে গিয়ে পাইলট ও তার সহযোদ্ধাদের দীর্ঘ সময় আকাশে থাকতে হয়। মাঝপথে জ্বালানি ভরার ঝুঁকিপূর্ণ প্রক্রিয়াও সম্পন্ন করেন তারা। পুরো সময় রেডিও নীরবতা বজায় রাখতে হয় যেন তথ্য ফাঁস না হয়।

অভিযান শেষে পাইলট বলেন, “ইসরায়েলের প্রযুক্তি ও সামরিক দক্ষতার সর্বোচ্চ প্রতিফলন ঘটেছে এই মিশনে। যদি ঐক্য ও শিক্ষা অব্যাহত থাকে, আমাদের পক্ষে আরও অনেক কিছু সম্ভব।”

সবশেষে এক শান্তিপূর্ণ বার্তায় তিনি বলেন, “আমরা আপনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করি না। আমরা আঘাত করেছি তাদের ওপর, যারা আমাদের ধ্বংস করতে চায়। একদিন নিশ্চয়ই শান্তি আসবে।”

সূত্র: জেরুজালেম পোস্ট