বিতর্কিত জাতীয় নির্বাচনের পর সহিংসতায় অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে আফ্রিকার দেশ তানজানিয়া। পুনর্নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট সামিয়া সুলুহু হাসান প্রায় ৯৮ শতাংশ ভোটে জয়ী হওয়ার পর থেকেই দেশজুড়ে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত অন্তত ১০ জন নিহত এবং বহু মানুষ আহত হয়েছেন।

২০২১ সালে প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জন মাগুফুলির মৃত্যুর পর সামিয়া হাসান দেশের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন। নতুন মেয়াদে দায়িত্ব শুরু করে তিনি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও সুশাসন ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, দার এস সালাম, শিনইয়াঙ্গা ও মোরোগোরো অঞ্চলে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ও গুলি ব্যবহার করে। প্রতিবাদকারীদের অভিযোগ, নির্বাচন ছিল পূর্বপরিকল্পিত ও কারচুপিমুক্ত নয়।

বিরোধী দল চাদেমা দাবি করেছে, নিহতের সংখ্যা সরকারি হিসাবের চেয়ে অনেক বেশি, তাদের মতে প্রকৃত সংখ্যা ৭০০ ছাড়াতে পারে।

অন্যদিকে, নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, প্রায় ৮৭ শতাংশ ভোটার অংশ নিয়েছেন এবং সামিয়া হাসান পেয়েছেন ৯৭.৬৬ শতাংশ ভোট। তবে ভোটের দিন দেশজুড়ে কারফিউ জারি ও ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়, যা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচনা উঠেছে।

ক্ষমতাসীন চামা চা মাপিন্দুজি (সিসিএম) দল এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, গণহত্যা বা ব্যাপক সহিংসতার খবর সম্পূর্ণ অতিরঞ্জিত।