ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় শনিবার রাতে মার্কিন বিমান হামলার পর নিউ ইয়র্ক ও ওয়াশিংটনের কর্তৃপক্ষ উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
নিউ ইয়র্ক পুলিশ বিভাগ এক্সে এক পোস্টে বলেছে, আমরা ইরানের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। উচ্চ সতর্কতার কারণে আমরা নিউ ইয়র্কজুড়ে ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক এবং কূটনৈতিক স্থানগুলোতে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করছি। ফেডারেল অংশীদারদের সাথে সমন্বয় সাধন করে কাজ করা হচ্ছে।'
দেশের গোয়েন্দা বিভাগের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে স্থানীয় পুলিশ।
এর কিছুক্ষণ পরেই মেট্রোপলিটন পুলিশ বিভাগ সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে একই ধরনের একটি বিবৃতি প্রকাশ করে। বিবৃতিতে বলা হয়, মেট্রোপলিটন পুলিশ বিভাগ ইরানের ঘটনাবলী নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। আমরা আমাদের স্থানীয়, রাজ্য এবং ফেডারেল আইন প্রয়োগকারী অংশীদারদের সাথে সক্রিয়ভাবে সমন্বয় রেখে চলছি যাতে তথ্য ভাগাভাগি করা যায় এবং গোয়েন্দা তথ্য পর্যবেক্ষণ করা যায় যাতে কলম্বিয়ার মানুষ সুরক্ষিত থাকেন।
মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, এখনই জেলায় কোনও হুমকি নেই, তবে শহরজুড়ে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে পুলিশের সংখ্যা বাড়ানো হবে। লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র কারেন বাস এক্স-এ উল্লেখ করেছেন, ইরানে বোমা হামলার পর শহরটি জননিরাপত্তার জন্য যেকোনো হুমকির উপর নিবিড়ভাবে নজর রাখছে।
বাস পোস্টে লিখেছেন, এই মুহূর্তে কোনও বিশ্বাসযোগ্য হুমকির খবর পাওয়া যায়নি এবং প্রচুর সতর্কতার কারণে লস অ্যাঞ্জেলেসের পুলিশ উপাসনালয়, সমাবেশস্থল এবং অন্যান্য সংবেদনশীল স্থানগুলোর কাছে টহলদারি জোরদার করছে। আমরা আমাদের সম্প্রদায়কে রক্ষা করার জন্য সতর্ক থাকব।
নিউ ইয়র্ক শহরের সাবেক পুলিশ কর্তা পল মাউরো ফক্স নিউজকে বলেন, ‘এমন স্থানে নজরদারি বাড়াতে হবে যেখানে ইসরায়েলি সংযোগ আছে। এখানে কয়েকটি শিয়া মসজিদ আছে সেদিকে নিরাপত্তা বাড়াতে হবে। কারণ কখন কী ঘটবে কেউ বলতে পারে না।
মাউরো বলেন, সর্বোপরি কর্তৃপক্ষ সম্ভাব্য বিপজ্জনক ব্যক্তিদের অনলাইন চ্যাট পর্যবেক্ষণ করছে। মাউরো আরও বলেন, ওয়াশিংটনের স্থানীয় কর্তৃপক্ষও একইভাবে কাজ করছে এবং কাস্টমস ও সীমান্ত সুরক্ষা (সিবিপি) বিভাগ দেশে কারা প্রবেশ করছে তার ওপর কড়া নজর রাখছে।
সূত্র: ফক্স নিউজ