ইউরোপ
প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন নিউজিল্যান্ড
প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব নিয়ে সতর্ক করেছেন নিউজিল্যান্ডের শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তা। গত বৃহস্পতিবার এক সম্মেলনে বক্তব্য প্রদানকালে এ কথা বলেছেন তিনি।
Printed Edition
৭ মার্চ, রয়টার্স : প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব নিয়ে সতর্ক করেছেন নিউজিল্যান্ডের শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তা। গত বৃহস্পতিবার এক সম্মেলনে বক্তব্য প্রদানকালে এ কথা বলেছেন তিনি। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা এ খবর জানিয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থার মহাপরিচালক অ্যান্ড্রু হ্যাম্পটন বলেছেন, প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোর অর্থনৈতিক ও আন্তঃসীমান্ত অপরাধের কারণে তাদের সঙ্গে কৌশলগত চুক্তি সই করার সুযোগ পেয়েছে চীন। এতে অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা সহযোগিতা এক সুতায় গাঁথা পড়ে গেছে।
তিনি আরও বলেছেন, নিউজিল্যান্ডের গোয়েন্দাদের জন্য চীনের কার্যক্রম ক্রমেই উদ্বেগের কারণ হয়ে দেখা দিচ্ছে। আমাদের প্রশান্ত মহাসাগরীয় অংশীদারদেরও এই ঝুঁকিগুলো সম্পর্কে সচেতন থাকা প্রয়োজন।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক উন্নয়নকে কেন্দ্র করে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে চীন। গত মাসে কুক আইল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক ব্রাউন বেইজিংয়ের সঙ্গে শিক্ষা, অর্থনীতি, অবকাঠামো, মৎস্য, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও সমুদ্রতল খনন সংক্রান্ত একাধিক চুক্তি স্বাক্ষর করেন। এই চুক্তিগুলো নিউজিল্যান্ডের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, কারণ কুক দ্বীপপুঞ্জের সঙ্গে নিউজিল্যান্ডের সাংবিধানিক সম্পর্ক রয়েছে। এর ফলে নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্রনীতি সংক্রান্ত বিষয়ে উভয় দেশের মধ্যে আলোচনা বাধ্যতামূলক।
হ্যাম্পটন জানান, এই চুক্তি স্বাক্ষরের আগেই তিনি কুক আইল্যান্ডস সফর করে প্রধানমন্ত্রী ব্রাউনকে বিদেশি হস্তক্ষেপ ও গুপ্তচরবৃত্তির ঝুঁকি নিয়ে গোপন গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ করেছিলেন। তবে এখন থেকে কুক আইল্যান্ডস ও চীনের মধ্যকার সম্পর্কের ওপর আরও সতর্ক নজরদারি করা হবে। হ্যাম্পটন আরও জানিয়েছেন, ফাইভ আইস জোটের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবেন তারা। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে থাকা এই জোটকে তিনি নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসের সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী ও গুরুত্বপূর্ণ গোয়েন্দা সহযোগিতা বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেছেন, ফাইভ আইসের গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়ের ফলে নিউজিল্যান্ডের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা বৃদ্ধি পেয়েছে।