বিবিসি : রাশিয়ার ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় পশ্চিম ইউক্রেনের শহর টারনোপিলে দুটি অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকে আঘাত হানলে হলে অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা। আহত হয়েছেন আরও কয়েক ডজন মানুষ। পুলিশ জানায়, ৬৪ জন আহতের মধ্যে ১৪ জন শিশু। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরুর পর পশ্চিম ইউক্রেনে অন্যতম প্রাণঘাতী হামলা। পশ্চিমাঞ্চলের লভিভ ও ইভানো-ফ্রাঙ্কিভস্কও হামলার শিকার হয়েছে। উত্তরাঞ্চলের খারকিভ শহরের তিনটি জেলায় ড্রোন হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৩০ জনের বেশি। অনলাইনে প্রকাশিত ছবিতে জ্বলে ওঠা ভবন ও গাড়ি দেখা গেছে। ইউক্রেনের জ্বালানি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হামলার কারণে বেশ কিছু অঞ্চলে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়া ৪৭০টির বেশি ড্রোন ও ৪৭টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। এতে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ হয়েছে। টারনোপিলে বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে থাকতে পারেন। জেলেনস্কির শেয়ার করা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, দুই ব্লকের একটি ভবনের তৃতীয় থেকে নবম তলা পর্যন্ত ধসে গেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইহর ক্লাইমেনকো বলেন, পুরো অংশটি ধ্বংস হয়ে গেছে। জানালা থেকে ধোঁয়ার কু-লী বের হচ্ছিল, বাইরে ছোট ছোট আগুনও জ্বলছিল। পশ্চিমাঞ্চলের অন্যান্য এলাকায় জ্বালানি স্থাপনা, পরিবহন ও বেসামরিক অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইভানো-ফ্রাঙ্কিভস্ক অঞ্চলে জ্বালানি খাত লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। সেখানে আহত তিনজনের মধ্যে দুইজন শিশু। লভিভ অঞ্চলের প্রধান বলেন, একটি জ্বালানি স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী আগের দিন জানিয়েছিল, তারা প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করা দূরপাল্লার অ্যাটাকমস ক্ষেপণাস্ত্র রুশ ভূখ-ে নিক্ষেপ করেছে। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় অভিযোগ করেছে, ইউক্রেন ভোরোনেজ শহরে চারটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে, তবে সেগুলো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভূপাতিত করেছে।