ইউরোপ
বলছেন আইরিশ প্রধানমন্ত্রী
ইউক্রেন প্রতিরোধ বাহিনীতে অংশ নেবে না আয়ারল্যান্ড
ইউক্রেন ‘প্রতিরোধ’ বাহিনীতে অংশ নেবে না আয়ারল্যান্ড। দেশটির প্রধানমন্ত্রী মাইকেল মার্টিন এই ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ‘প্রতিরোধ’ বাহিনীতে আইরিশ সৈন্যদের অংশগ্রহণের জন্য পাঠানো হবে না।
Printed Edition

৬ মার্চ, এএফপি : ইউক্রেন ‘প্রতিরোধ’ বাহিনীতে অংশ নেবে না আয়ারল্যান্ড। দেশটির প্রধানমন্ত্রী মাইকেল মার্টিন এই ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ‘প্রতিরোধ’ বাহিনীতে আইরিশ সৈন্যদের অংশগ্রহণের জন্য পাঠানো হবে না। তবে শান্তিরক্ষা দলে অংশগ্রহণের জন্য তার দেশ উন্মুক্ত বলে জানিয়েছেন তিনি। গত বুধবার প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা।
লিভারপুলে আইরিশ-ব্রিটিশ শীর্ষ সম্মেলনে মাইকেল মার্টিন সাংবাদিকদের বলেন, “যদি যুদ্ধবিরতি হয় বা যদি সংঘাত বন্ধ হয়, আয়ারল্যান্ড সবসময় শান্তিরক্ষার জন্য উন্মুক্ত রয়েছে, কিন্তু আমরা কোনও প্রতিরোধ বাহিনীর অংশ হবো না।” তিনি জোর দিয়ে বলেন, “এই বিষয় দুটি ভিন্ন এবং স্বতন্ত্র ব্যাপার।” ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্য বলেছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি রক্ষা নিশ্চিত করতে ইউক্রেনে সেনা মোতায়েন করতে প্রস্তুত। তবে তেমন পরিস্থিতিতে সৈন্যদের সুনির্দিষ্ট ভূমিকা সম্পর্কে বিস্তারিত জানায়নি দেশ দুটি। এর আগে গত বৃহস্পতিবার আয়ারল্যান্ডে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করেন মাইকেল মার্টিন। পরে আইরিশ এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি শান্তিরক্ষা মিশনে তার দেশের অংশগ্রহণের প্রস্তাব করেছেন।
প্রসঙ্গত, আয়ারল্যান্ড সামরিক জোট ন্যাটো’র সদস্য নয়, তবে দেশটির সেনাবাহিনীর প্রায় ৮ হাজার ৫০০ সদস্য প্রায়ই আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশ নিয়েছে। যদিও কোনও বাহিনীর সঙ্গে তাদের যুক্ত হওয়ার নীতি বেশ কঠোর। এছাড়া বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক উত্থানের মুখে আইরিশ সরকার “ট্রিপল লক” নামে একটি ব্যবস্থাকে নির্মূল করার তার অভিপ্রায় ঘোষণা করেছে, যার জন্য তার সামরিক বাহিনীকে বিদেশে মোতায়েন করতে জাতিসংঘের অনুমোদন প্রয়োজন। সমস্যাটি রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল এবং বিরোধী দলগুলো ট্রিপল লককে আইরিশ নিরপেক্ষতার ভিত্তি হিসেবে বিবেচনা করে থাকে।