রয়টার্স , বিবিসি : ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ককে ‘অসন্তোষের বিষয়’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। ফক্স নিউজ রেডিওকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রুবিও বলেছেন, দিল্লিকে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র ও কৌশলগত অংশীদার মনে করলেও রাশিয়ার তেল ক্রয় তাদের পারস্পরিক সম্পর্কে প্রভাব ফেলছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের পর রুবিও এই মন্তব্য করলেন।

রুবিও বলেন, আমরা বুঝি ভারতের জ্বালানি চাহিদা বিশাল এবং তারা সস্তায় রুশ তেল পাচ্ছে। কিন্তু এটা ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ প্রচেষ্টায় রসদ যোগাচ্ছে। তিনি বলেছেন, অন্যান্য উৎস থেকেও তেল পাওয়া গেলেও ভারত রাশিয়াকেই প্রাধান্য দিচ্ছে। এটিই যুক্তরাষ্ট্রের হতাশার বড় কারণ। ২০২১ সালে ভারতের মোট তেল আমদানিতে রাশিয়ার অংশ ছিল মাত্র ৩ শতাংশ। তবে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ২০২৪ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৫-৪০ শতাংশে। মূল্যছাড়ের কারণে রুশ তেলের দিকে ঝুঁকে পড়ে দিল্লি। সরকারিভাবে ভারত রুবিওর বক্তব্যের কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে অতীতে তারা যুক্তি দেখিয়েছে, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর স্বার্থে সর্বনিম্ন দামে জ্বালানি কেনার অধিকার তাদের আছে। সম্প্রতি ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত কয়েকটি তেল শোধনাগার রুশ তেল কেনা বন্ধ করেছে ছাড় কমে যাওয়ায়। তবে ভারতের জ্বালানি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা এমন কোনও নির্দেশ দেয়নি। গত মাসে জ্বালানিমন্ত্রী হারদীপ সিং পুরি বলেছিলেন, রাশিয়া থেকে তেল সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হলে ভারত অন্য উৎস থেকেও তেল সংগ্রহে প্রস্তুত। তিনি জানান, ভারত বর্তমানে ৪০টি দেশ থেকে তেল আমদানি করে। আগে এই সংখ্যাটি ছিল ২৭।