রয়টার্স: আসন্ন বাজেট কাটছাঁট বাতিলের দাবিতে ফ্রান্সে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ফ্রান্সজুড়ে ২৪০টিরও বেশি স্থানে বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা আরও বিক্ষোভ ও ধর্মঘট পালনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিক্ষোভকারীরা বলে সিজিটি ইউনিয়ন। ইউরোজোনের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি ফ্রান্সের বাজেট ঘাটতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চাপের মুখে রয়েছেন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং সদ্য নিয়োগ পাওয়া প্রধানমন্ত্রী সেবাস্তিয়ান লেকর্নু। এখনও মন্ত্রিসভা গঠন নিয়ে কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে ইউনিয়ন নেতারা চাইছেন সরকারি খাতে আরও ব্যয় বৃদ্ধি, ধনীদের ওপর বেশি কর আরোপ এবং রাষ্ট্রীয় পেনশনে আনা পরিবর্তন বাতিল। এই নেতাদের মধ্যে কট্টরপন্থী সিজিটি এবং ফ্রান্সের সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন সিএফডিটি প্রধানরাও রয়েছেন। সিজিটি’র মহাসচিব সোফি বিনে বি এফ এম টিভিকে বলেন, “প্রথমেই আমরা জানতে চাই সরকার কারা হবেৃ এরপর আমরা জানতে চাই বাজেট কী হবে। আর যদি বাজেটে কোনও ধরনের পশ্চাদপসরণ থাকে, আমরা তা অবশ্যই মেনে নেব না।” প্রতিবাদ শুরুর সময়েই প্যারিসে একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রবেশপথে অবরোধ তৈরি করে শিক্ষার্থীরা। অবশ্য ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত ছিল। প্যারিস ছাড়াও ডিজঁ, মেটজ, পয়তিয়ে এবং মন্টপেলিয়ার শহরে বিক্ষোভ হওয়ার কথা রয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রুনো রেতাইয়ো জানান, এসব অঞ্চলে প্রায় ৭৬ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হবে। এর মধ্যে কেবল প্যারিস অঞ্চলে প্রায় ৫,০০০ পুলিশ থাকবে। ফ্রান্সের প্রস্তাবিত ২০২৬ সালের বাজেটের বিরুদ্ধে গত সেপ্টেম্বরেও বিক্ষোভ হয়েছে। ওই বিক্ষোভ ও ধর্মঘটে শত-সহস্র মানুষ, যার মধ্যে শিক্ষক, ট্রেন চালক, ফার্মাসিস্ট এবং হাসপাতালের কর্মী অংশ নেন। তখন কিশোররাও ঘণ্টার পর ঘণ্টা ডজনখানেক উচ্চ বিদ্যালয় অবরোধ করে রাখে।