এক্সে : রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে রুশ বাহিনীর পক্ষে লড়াই করছে ১ হাজার ৪৩৬ জন আফ্রিকান সেনা। আফ্রিকার প্রায় ৩৬টি দেশ থেকে এসেছে এই সেনারা। ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রিয়ে সাইবিহা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এই দাবি করেছেন। গতকাল শুক্রবার আফ্রিকার ৩৬টি দেশের সরকারকে সতর্কবার্তাও দিয়েছেন তিনি। এক্সপোস্টে তিনি বলেছেন, “যেসব সেনারা রুশ বাহিনীর নিয়োগপত্রে স্বাক্ষর করেছেন, তারা প্রকৃতপক্ষে তাদের মৃত্যুদণ্ডকে অনুমোদন দিয়েছেন। রুশ বাহিনীর পক্ষে লড়াইরত যেসব বিদেশি সেনা আমাদের হাতে ধরা পড়েছেন, তাদের পরিণতি দুঃখজনক হয়েছে। বেশিরভাগকেই তাৎক্ষণিকভাবে হত্যা করা হয়েছে।” এক্সপোস্টে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, যেসব রুশ সেনা যুদ্ধবন্দি হিসেবে তাদের কারাগারগুলোতে রয়েছেন, তাদের একটি বড় অংশই বিদেশি। ইউক্রেনের সরকার এইসব বন্দিদের তালিকা প্রস্তুত করছে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
“আমরা আফ্রিকা ও অন্যান্য দেশের সরকারের প্রতি আমাদের অনুরোধ — নাগরিকদের এই যুদ্ধে ঢেলে দেবেন না।” এদিকে গত বৃহস্পতিবার দক্ষিণ আফ্রিকা জানিয়েছে, দেশটি থেকে এ পর্যন্ত ১৭ জন রাশিয়ায় গিয়ে রুশ বাহিনীতে যোগ দিয়েছে বলে জানা গেছে। তারা কীভাবে গেল— তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে। এর কিছুদিন আগে কেনিয়া জানিয়েছিল, তাদের বেশ কয়েকজন নাগরিক রাশিয়া ও ইউক্রেনের সেনা ছাউনিগুলোতে বন্দি আছে। প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে সাক্ষরিত মিনস্ক চুক্তির শর্ত লঙ্ঘণ, ক্রিমিয়াকে রুশ ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী, যা এখনও চলছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এ অভিযানের নির্দেশ দিয়েছিলেন। প্রায় তিন বছরের যুদ্ধে দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, ঝাপোরিজ্জিয়া এবং খেরসন— এই চার প্রদেশের দখল করেছে রাশিয়া। মস্কোর প্রস্তাব— কিয়েভ যদি ক্রিমিয়াসহ এই চার প্রদেশকে রুশ ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃতি দেয়, তাহলে ইউক্রেনে সামরিক অভিয়ানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হবে। অন্যদিকে কিয়েভের বক্তব্য, রাশিয়া যদি অধিকৃত অঞ্চলগুলো থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেয়, শুধু তাহলেই শান্তি সংলাপে বসবে ইউক্রেন।