ইউরোপ
সার্বিয়ার পার্লামেন্টে স্মোক গ্রেনেড ছুড়লো বিরোধীরা
সার্বিয়ার পার্লামেন্টে স্মোক গ্রেনেড ও পিপার স্প্রে ছুড়েছেন বিরোধীদলীয় আইনপ্রণেতারা।
Printed Edition

৫ মার্চ, রয়টার্স : সার্বিয়ার পার্লামেন্টে স্মোক গ্রেনেড ও পিপার স্প্রে ছুড়েছেন বিরোধীদলীয় আইনপ্রণেতারা। গত মঙ্গলবারের এই ঘটনায় এক আইনপ্রণেতা স্ট্রোক করেছেন। পার্লামেন্ট স্পিকার অ্যানা ব্রানাবিক বলেছেন, ওই ঘটনায় তিন আইনপ্রণেতা আহত হয়েছেন। আর এসএনএস পার্টির জ্যাসমিনা ওবরাডোভিচ স্ট্রোক করেছেন। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জলাটিবর লোনচার জানিয়েছেন, ওবরাডোভিচের অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক।
দেশটিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতি সমর্থন জানাতে ও সরকারের বিরোধিতা করতে এই ঘটনা ঘটানো হয়। এক রেল স্টেশনের ছাদ ধসে পড়ে ১৫ জনের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে চার মাস ধরে চলছে এই আন্দোলন। এই আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন শিক্ষক, কৃষকসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। ইতোমধ্যে লাগামহীন দুর্নীতির অভিযোগে জর্জরিত প্রেসিডেন্ট আলেকসান্দার ভুচিচের সরকারের জন্য এই আন্দোলন সবচেয়ে বড় হুমকি হয়ে দেখা দিতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
পার্লামেন্টের বৈঠক চলাকালে ক্ষমতাসীন দল সার্বিয়ান প্রগ্রেসিভ পার্টি (এনএনএস) এজেন্ডাটি গ্রহণ করলে বিপত্তি শুরু হয়। বিরোধীদলীয় কয়েকজন আইনপ্রণেতা নিজেদের আসন ছেড়ে সামনে স্পিকারের দিকে ছুটে যান এবং নিরাপত্তা কর্মীদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। অন্য কয়েকজন আইনপ্রণেতা স্মোক গ্রেনেড ছুড়ে মারেন ও পিপার স্প্রে করেন। এই ঘটনার পর প্রেসিডেন্ট ভুচিচ বলেছেন, ওই হট্টগোলে জড়িত সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে কর্তৃপক্ষ। সার্বিয়ান আইন অনুযায়ী, পার্লামেন্ট সদস্যরা অনেক বিষয়ে দায়মুক্তির সুবিধা ভোগ করলেও মারাত্মক অপরাধের জন্য সুবিধাটি বাতিল হতে পারে। বিরোধীদলীয়দের হাতে 'সাধারণ ধর্মঘট', 'নিহতদের জন্য ন্যায়বিচার' ইত্যাদি লেখা কাগজ ছিল। পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে মৃতদের স্মরণে নীরব অবস্থান পালন করেন বিক্ষোভকারীরা। আগামী ১৫ মার্চ রাজধানী শহর বেলগ্রাডে ব্যাপক সমাবেশের আহ্বান জানানো হয়েছে। ক্ষমতাসীনদের অভিযোগ, পশ্চিমা গোয়েন্দারা বিদ্রোহীদের মদত দিচ্ছে। সার্বিয়াকে অস্থিতিশীল করে সরকারকে ফেলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে তারা। পার্লামেন্টের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পর বৈঠক মুলতবি ঘোষণা করা হয়। বুধবার থেকে স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরুর কথা রয়েছে।