রয়টার্স, দ্য কাঠমান্ডু পোস্ট : নেপালে জেন-জি প্রজন্মের হাজারও তরুণকে ভোট দেওয়ার সুযোগ করে দিতে একটি অধ্যাদেশ জারি করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পাওদেল। এর কারণে, নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পরও নিবন্ধনের সুযোগ পাচ্ছেন তরুণরা। দেশটিতে ২০১৭ সালের ভোটার নিবন্ধন আইনের ৪ নম্বর ধারা, উপধারা ২ (২) অনুযায়ী, নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর নতুন ভোটার নিবন্ধন করা নিষিদ্ধ ছিল। এদিকে, প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কিকে শপথ পড়ানোর রাতেই আগামী ৫ মার্চ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন প্রেসিডেন্ট। ফলে আইন সংশোধন না হলে, প্রথমবার ভোট দেওয়ার বয়সে পৌঁছেছেন এমন বহু তরুণ ভোট দেওয়ার সুযোগ পেতেন না। জারি হওয়া অধ্যাদেশের মাধ্যমে আইনটির ওই ধারা বাতিল করে নতুন বিধান যোগ করা হয়েছে। নতুন ধারায় বলা হয়, নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভোটার নিবন্ধন করা যাবে। নেপালের নির্বাচন কমিশনের মুখপাত্র নারায়ণ প্রসাদ ভট্টরাই জানান, প্রথমে ভোটার নিবন্ধন সম্পন্ন করে প্রচলিত নিয়মে নির্বাচনি সময়সূচি ঘোষণা করা হবে। প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কি ১২ সেপ্টেম্বর দায়িত্ব গ্রহণের দিনই পার্লামেন্ট সভা ভেঙে দেন। নবনিযুক্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ওম প্রকাশ আচার্য প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ভোট দেওয়ার যোগ্য কিন্তু বাদ পড়া নাগরিকদের নিবন্ধনের সুযোগ দেওয়া হবে। তিনি আরও ঘোষণা করেন, প্রবাসী নেপালিদেরও ভো দেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং ইতোমধ্যেই একটি গবেষণা দল গঠিত হয়েছে। প্রেসিডেন্ট প্যাডেলের অধ্যাদেশকে জেন জি প্রজন্মের জন্য জয় হিসেবে ব্যাখ্যা করছেন অনেকে। দুর্নীতি ও দুর্বল শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে তাদের সহিংস আন্দোলনে সাবেক সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিল এবং কার্কির নেতৃত্বে অন্তর্র্বতীকালীন সরকার গঠনের পথ সুগম করেছিল। এখন তাদের দিয়েই ব্যালট বাক্সে দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণের পথ তৈরি করা হচ্ছে।
ইউরোপ
নেপালে জেন জিদের ভোট দেওয়ার সুযোগ দিতে অধ্যাদেশ জারি
নেপালে জেন-জি প্রজন্মের হাজারও তরুণকে ভোট দেওয়ার সুযোগ করে দিতে একটি অধ্যাদেশ জারি করেছেন দেশটির