বিবিসি, রয়টার্স : তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরের বিড়ালপ্রেমের গল্পটা বেশ পুরোনো সেই অটোমন আমলের। বিড়ালপ্রেম এখনো টিকে আছে। শহরের আনাচকানাচে অগুনতি বিড়ালের উপস্থিতিই তার প্রমাণ। তাই তো বিশ্বজুড়ে বিড়ালপ্রেমীদের কাছে শহরটি আরেক নামে পরিচিত ক্যাটস্তাম্বুল’। আর অনেক ভ্রমণপিপাসুই ইস্তাম্বুলে ছুটে যান শুধু এই বিড়ালের জন্য। ইস্তাম্বুল তুরস্কের সবচেয়ে বড় শহর, খুব ব্যস্ত। শহরটিতে দেড় কোটি মানুষের পাশাপাশি বসবাস করে আনুমানিক আড়াই লাখ বিড়াল। রাস্তাঘাট, মসজিদ, ক্যাফে ও মেট্রোস্টেশনগুলো কোথায় দেখা যায় না এই বিড়ালগুলোকে। পর্যটকদের ভালোবাসা পেতেও ছুটে যায় বিড়ালগুলো। তাঁরাও তাই বিড়ালের সঙ্গে নিজেদের ক্যামেরাবন্দী করতে ভোলেন না। ইস্তাম্বুলে বিড়ালের একটি মিউজিয়াম রয়েছে। মিউজিয়ামটির সহপ্রতিষ্ঠাতা ফাতিহ দাগলি বলছিলেন বিড়ালের প্রতি তাঁদের ভালোবাসার কথা। তিনি বলেন, শহরের প্রতিটি পৌর এলাকায় রাস্তাঘাটে বেড়ে ওঠা বিড়ালদের জন্য বিনা মূল্যে পশুচিকিৎসার ব্যবস্থা আছে। আর বেসরকারি চিকিৎসাকেন্দ্রগুলো ছাড়ে বিড়ালের চিকিৎসা দেয়। অনেক সময় চিকিৎসার খরচ জোগান স্থানীয় লোকজনও। ইস্তাম্বুলের মানুষ বিড়াল পালেন, বেশির ভাগ বিড়াল বেড়ে ওঠে রাস্তাঘাটে। তবে ঘরের কিংবা বাইরের কোনোটির প্রতি বাসিন্দাদের ভালোবাসার কমতি নেই বলে মনে করেন আলোকচিত্রী মার্সেল হাইজনেন। তাঁর ভাষায়, ইস্তাম্বুলের সব বিড়ালের মালিক শহরের মানুষেরাই। নিজ নিজ এলাকার বিড়ালগুলোর প্রতি তাঁদের যতœআত্তির কোনো কমতি নেই।