২৬ মার্চ, ইন্টারনেট : রাশিয়া জানিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিষেধাজ্ঞাসহ বিভিন্ন বিষয়ে ‘গভীর ও কার্যকর’ আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি সৌদি আরবের মধ্যস্থতায় যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও ইউক্রেন কৃষ্ণসাগর অঞ্চলে যুদ্ধবিরতির একটি খসড়া পরিকল্পনায় পৌঁছেছে। তবে রাশিয়া স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি না উঠলে এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে না। বিশেষ করে রাশিয়ার কৃষি খাত সংশ্লিষ্ট ব্যাংকসহ খাদ্য ও সার খাতের ওপর থাকা নিষেধাজ্ঞা তারা তুলে নিতে চায়।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ বজায় রাখছি। আলোচনা বেশ কার্যকরভাবে এগোচ্ছে। তিনি আরও বলেন, কৃষ্ণসাগর চুক্তি কার্যকর করতে হলে কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে।

তবে হোয়াইট হাউস নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। বরং তারা বলেছে, রাশিয়ার কৃষি ও সার রপ্তানির বাজারে প্রবেশ সহজ করতে কাজ করা হবে। এদিকে রাশিয়া অভিযোগ করেছে, যুদ্ধবিরতি চলার মাঝেও ইউক্রেন তাদের জ্বালানি অবকাঠামোয় হামলা চালিয়েছে। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ক্রিমিয়ায় একটি গ্যাস সংরক্ষণাগারে এবং ব্রায়ান্সক অঞ্চলে একটি বিদ্যুৎ স্থাপনায় ইউক্রেন ড্রোন হামলা চালিয়েছে।

রাশিয়ার দাবি, ১৮ মার্চ থেকে ৩০ দিনের জন্য জ্বালানি স্থাপনাগুলোর ওপর হামলা না চালানোর একটি সমঝোতা কার্যকর হয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, রাশিয়া ও ইউক্রেন কেবলমাত্র এই বিষয়ে ‘ব্যবস্থা গ্রহণের আলোচনা’ চালিয়ে যাচ্ছে।

যদিও মস্কো যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে বলে দাবি করছে, কিন্তু এর কার্যকারিতা এবং পর্যবেক্ষণের ব্যাপারে স্পষ্টতা নেই। রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র এখনও পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে, যা যুদ্ধ পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলছে।